| মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
বিদ্রোহের লাগি রাত জাগি খুঁজি অমর বিদ্রোহীকে
খোঁজার মাঝে শেষরাতে পুরো ঘুম এলো চোখে
ভোররাতে আম্মা কড়া নেড়ে জাগিয়ে তুলেন ডেকে
বলেন ওরে উঠ বাছা ঝেড়ে ফেলে ঘুমের ঘোর
ওঠরে তাড়াতাড়ি খোলে দে তোর দোর।
আজানের ধ্বনী কান পেতে শুনি
নিশি শেষে ভোরের আগমনী।
ফোনের শব্দে বিছানা ছাড়ি উঠেছি তাড়াতাড়ি
ফোনে এক শিক্ষা গুরু,
কেমন আছ তুমি?
বলে তিনি কথা করেন শুরু,
দুঃসহ সময় বলিনি গুরুকে
দুঃসময় এখন চারপাশ কাল
বলেছি আছি বেশ- আছি আমি ভাল
তিনি বলিলেন ঘুমিয়ে ছিলে কি?
ঘুমে থাক পরে কথা হবে ফোনটা এখন রাখি।
বলিলাম পরম শ্রদ্ধায় না না উঠেছি আমি জেগে
শিক্ষকের ডাক এখনও জাগায় এমন ভাগ্যবান কে?
বলিলেন তিনি কাজী নজরুলের আজ যে জন্মদিন
অঞ্জলি লহ আজিকে সবাই শোধিতে তাঁর ঋণ।
ঘুমের ঘোর কাটিয়া গেল বিদ্রোহীর জন্মদিনে
অন্যরকম সাহস দোলা দিল মোর মনে।
শিক্ষা গুরুকে বলিলাম ,বলুন করিব আমি কি
বলিলেন হেসে ওরে প্রিয় মোর, চির চঞ্চল চির অধীর
এমনই দিনে সেই কবিতাটি বল তোমার কণ্ঠে শুনি
যে কবিতায় নজরুল মোদের করে গেছেন চিরঋণী।
গুরুর আদেশে পরম তৃপ্তি
আজ যেন বুকে ভিন্ন শক্তি
দ্বার খুলে দেখি
গাছে গাছে ডাকিছে বুলবুলি
বুক ভরা সুখে উদ্দীপ্ত মুখে বলিলাম উচ্চ স্বরে
ওর সাহসী প্রকিবাদী থাকিস না কেউ
কপাট লাগানো ঘরে
জুলুমের প্রতিবাদে উঠরে জাগি
সত্য সুন্দরের যুদ্ধের লাগি
এক হয়ে সমস্বরে উজার করে প্রাণ
গেয়ে উঠ সবে কাজী নজরুলের যুদ্ধ জয়ের গান।
আঁধার কেটে আলোর মতোই বিদ্রোহীর প্রতিধ্বনী
বলিছেন যেন কবি আজো সেই অমর কবিতা খানি
“বল বীর বল উন্নত মম শীর”
“চল চল চল উর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল ”
পড়ি আর বলি লিখেছেন কবি তোমাদেরই লাগি
হে নতুন প্রজন্মের দল ।
জাতীয় কবি নজরুল স্মরণে আজি তাঁর সৃস্টির প্রতিধ্বনী
সম্স্বরে যদি বলি সবাই আজি সেই অমর জয়ধ্বনী
“ চল চল চল উর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল”
দৃঢ় বিম্ভাস মনে আমার
পাব শাক্তি, পাব সাহস ,পাব এগিয়ে যাওয়ার বল।
———————————————————
উৎসর্গ ঃ গভঃ মডেল গার্লস স্কুলের শিক্ষক পারভীন আক্তারকে ।যিনি আজ আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জাতীয় কবির বিদ্রোহী কবিতাটি আমার কণ্ঠে শুনতে চেয়েছেন। — ১১ জ্যৈষ্ঠ১৪২২ বঙ্গাব্দ ২৫মে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ।