• শিরোনাম

    দূরে কাছে আমাকে যাঁরা ভালবাসে , মহান আল্লাহ তাঁদের তুমি ভালবেসো……..

    আল আমিন শাহীনঃ | বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

    দূরে কাছে আমাকে যাঁরা ভালবাসে , মহান আল্লাহ তাঁদের তুমি ভালবেসো……..

    ভালবাসা প্রাপ্তির অনূভূতি অন্যরকম যা লিখে বলে প্রকাশ করা যায় না। এক্ষেত্রে নিজেকে বিশ্বসেরা মনে হয়। আলহামদুলিল্লাহ,দারুণ সুখী আমি। ঘুম থেকে উঠি ফেরেশতাদের ডাকে। ফেরেশতা বলতে মুখে কথা ফুটেনি আমার ভাইঝি, পায়ে চিমটি কেটে জাগিয়ে তুলে, চোখ খুললেই দেখি নিষ্পাপ শিশুর মিষ্টি হাসি। স্ত্রী আর কন্যা সকালের নাস্তা রেডি রাখে,ঘর থেকে বের হবার সময় শরীরে ফু দিয়ে দোয়া করেন আম্মা। কলেজ পাঠ পাড় হওয়া ছেলে আমার মোটরবাইক মুছে ঘরের দরজায় রেডি করে রাখে। বাড়ি থেকে বের হয়েই পথে পথে নানা জনের সাথে কুশল বিনিময়। হাসিমুখেই বলতে হয় ভাল আছি, সুখে আছি।নানাজনে সালাম দিলে তা পৌছে দিই সৃষ্টি কর্তার কাছে , বলেউঠি, সকল প্রসংশা মহান আল্লাহর। পথে প্রতিবন্ধকতা দেয় প্রায় প্রতিদিনই মৌলভীপাড়ার চা দোকানী, “ভাইজান একটা চা খাইয়া যান “,মাঝে মাঝে আবদার রাখি। পয়সা নিতে চায় না। জোর করে দেয়াও যায় না, বিব্রত হই নিবিঢ় ভালবাসায়। মোটর বাইকে না চড়ে রিক্সা অটোতে উঠলে চালক ভাড়া নিতে চায় না,“ লাগতো না যানগা।” আশ্চর্য হই মনে প্রশ্ন জাগে তাঁদের তো কোন উপকার করেনি। আজ কোর্ট রোডে এক রিক্সাচালক ঘাম মাখা হাতে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করলো, তার নাম মনে নেই। মুখের হাসি আর দোয়ায় লজ্জিত হয়েছি নাম ভুলে গেছি বলে। সন্ধ্যায় মাদ্রাসা মসজিদে মাগরিব নামাজ পড়তে দাড়িয়েছি। আমাকে দেখে একজন বিশিস্ট আলেম জড়িয়ে ধরলন , হাতে কপালে চুমু দিলেন। বল্লেন , নামাজের পর চা খেয়ে যেতে হবে। আমাকে মসজিদে দেখে তিনি যে খুব খূশী হয়েছেন তা বুঝা গেছে হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে। দেখা হলো কোর্ট রোড আনিস প্লাজায় সাবেক উপমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট হুমায়ূন কবীরের সাথে , তিনি জোর করে স্যুপ খাওয়ালেন, এক বাটি নয় দু বাটি,নাছোর বান্দা, খেতেই হবে। বাক শক্তি নেই, ইশারা ইঙ্গিতে প্রগাঢ় ভালবাসা। এতো একদিনের কথা। প্রতিদিনই এমন। কাল একটি অনুষ্ঠানে গেছি , সেখানে প্রিয় বন্ধু অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, সহ অন্যান্যরা আমাকে ঘিরে বক্তৃতায় যে প্রসংশা করলো আসলে ততটুকু আমি নই। সহধর্মীনী বক্তৃতা দিতে পারার সুযোগে যা কখনো ঘরে বলে না তাই বল্লো, চোখ ভিজে গেছে বক্তৃতা শুনে। ইদানিং সন্তান বয়সী এক ঝাঁক নতুন প্রজন্মের তরুণযুবা ভিন্ন ভালবাসায় আমাকে মুগ্ধ করেছে। নানাভাবেই নানাজনের অন্যরকম ভালবাসায় সিক্ত হয়ে আমার দিন কাটে। দিন যায় দিন আসে একই রকম, বাড়ি ফিরে ভাবি , আমি যে ভালবাসা পাই ,ততটুকু কি আমি ভালবাসতে পারি? হিসেবে মিল পাই না। দেখি আমাকেই ভালবাসে অন্যরা বেশী। তাইতো সৃষ্টি কর্তার কাছ মিনতি করি, হে মহান আল্লাহ আমাকে যাঁরা ভালবাসে, তাঁদের তুমি ভালবেসো।ভাল রেখো সুখে রেখো সুন্দর রেখো। আমীন।

    ——লেখক—–
    আল আমিন শাহীন
    সিনিয়র সহসভাপতিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব।
    সভাপতিঃ জেলা শিল্পী সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
    প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সাপ্তাহিক নতুন মাত্রা।

     

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    সবটুকুই সত্য

    ১৮ জুন ২০১৭

    বঙ্গ জননী

    ১৩ আগস্ট ২০১৭

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম