• শিরোনাম

    আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুতে অটোরিক্সা বন্ধের প্রতিবাদে

    যাত্রীপারাপার সংগ্রাম পরিষদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

    বাবুল সিকদার আশুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ | মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০১৭

    যাত্রীপারাপার সংগ্রাম পরিষদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

    ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু সাধারণ মানুষের পারাপারের একমাত্র বাহন ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে যাত্রীপারাপার সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মো.তানশেন আহমেদের নেতৃত্বে আজ সোমবার দুপুর ১২টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন যাত্রীপারাপার সংগ্রাম পরিষদ। এতে করে শিল্প ও বন্দরনগরী আশুগঞ্জ ও ভৈরব উপজেলার হাজার হাজার সাধারণ যাত্রী সেতু পারাপারে চরম দূর্ভোগে পড়েছে।দুই পারের স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ৫ শতাধীক শিক্ষার্থীও তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। বেকার হয়ে পড়েছে সেতু পারাপারে ব্যবহৃত অটোরিক্সা ২ শতাধীক চালক ও শ্রমিক।আর্থিক দৈন্য দশায় তারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।ব্রীজ দিয়ে পায়ে হেটে যাত্রী পারাপারের সময় ছিনতাই ও ডাকাতির কবলে পড়ছে যাত্রীরা।

    যাত্রীপারাপার সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মো.তাসেন আহমেদ বলেন সেতুর উপর সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা নহলে আরো কঠোর কর্মসুচী দিয়ে দাবী আদায় করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন । স্মারকলিপি প্রদানের সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত চিলেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ট্রাক চালাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইদন মিয়া মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের,জাগ্রত আশুগঞ্জবাসীর সদস্য সচিব ঈসা খান,যুগ্ম আহবায়ক মো.আজিজ মুন্সি মো.মনির হোসেন,নৌযান শ্রমিক ফেডাশেনের কেন্দ্রীয় স¤œবয়ক মো.হাবিুল্লাহবাহার মাষ্ঠার, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল হেকিম।এসময় অটো-সিএনজি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল হোসেন, ভৈরব শাখার আহবায়ক দুলাল আহম্মেদ, উপজেলা চাতালকল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন,উপজেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ মুন্সি,পরিবেশক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূও হোসেন ভুইয়া প্রমূখসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন উপস্থিত থেকে তাদের দাবীর প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করেন। যাত্রী ও চালক-শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলার হুমকি দেন।

    এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান জানান, ব্রীজে আমাদের পক্ষ থেকে অটো কিংবা সিএনজি বন্ধ করা হয়নি। এটি যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ব্রীজের ইজারাদারের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছে। এখানে পুলিশ প্রশাসনের কিছু করার নাই।

     

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম