• শিরোনাম

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে

    কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে বন্যার্তদের জন্য ত্রান সামগ্রী নিয়ে রওয়ানা দিয়েছে ১২টি ট্রাক

    সিবিবার্তা রিপোর্টঃ | বুধবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

    কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে বন্যার্তদের জন্য ত্রান সামগ্রী নিয়ে রওয়ানা দিয়েছে ১২টি ট্রাক

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে বন্যার্তদের জন্য ত্রান সামগ্রী নিয়ে রওয়ানা দিয়েছে ১২টি ত্রানবাহী ট্রাক।

    গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ট্রাকগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্স থেকে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ছেড়ে যায়। ত্রাণের প্রতি প্যাকেটে পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, আধা কেজি চিনি, আধা কেজি সুজি, আধা কেজি চিড়া ও দুটি খাবার স্যালাইন রয়েছে। তবে কিছু প্যাকেটে শাড়ি এবং লুঙ্গিও রয়েছে। জেলাবাসীর সহায়তায় বন্যাদুর্গতদের হাতে পৌঁছে দিতে

    এদিকে বন্যার্তদের জন্য ত্রান পাঠানো উপলক্ষে গতকাল  বিকেলে পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে আয়োজিত ত্রাণসামগ্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

    পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার)এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবার হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি  রশিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।

    জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য জেলা প্রশসানের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।

    উল্লেখ্য, বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসতে জেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি তহবিল গঠন করে । পরে শহরের পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে বন্যার্তদের সাহায্য সংগ্রহের একটি অস্থায়ী বুথ খোলা হয়।

    পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমানের আহবানে সাড়া দেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীরাও । জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ নগদ অর্থ, নতুন কাপড়, শুকনা খাবার, ওষুধ, খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি দ্বারা সহযোগিতা করেন।

    একটি সূত্র জানায়, বন্যার্তদের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ৫০ লাখ ২৩ হাজার ৮৭৮ টাকা সংগ্রহ করা হয় এবং ১৫ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী জমা পড়ে।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম