মোঃ আজহার উদ্দিনঃ | শুক্রবার, ০৯ জুন ২০১৭
সাংবাদিকের উপর দালালচক্র ও সন্ত্রাসী হামলায় এখনও কেন আসামী গ্রেফতায় হয়নি । পুলিশ প্রশাসনিক ভূমিকা পুরোপুরি পালন করছে কিনা- মনে করেন সাংবাদিকনেতারা । (গত শুক্রবার)ব্রাহ্মনবাড়িয়া পৌর এলাকার কুমারশীল মোড় অবস্থিত আমিন কমপ্লেক্সে ডাক্তাদের চেম্বার গুলোতে দালালদের দৌড়াত্ব । এই শিরোনামে গত দুই সপ্তাহ আগে দালালদের বিরোদ্ধে দৈনিক যায়যায় কাল ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া লোকাল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দৈনিক যায়যায় কালের প্রতিনিধি মোঃ আজহার উদ্দিন ডাঃ জাকারিয়ার চেম্বারে নিউজ সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকের উপর রাগান্বিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায় হাসপাতাল দালালচক্র ও সন্ত্রাসীবাহিনী । আর হামলায় নেত্বিতদেয় ছিনতাইকারী ও হাসপাতাল দালাল রাব্বি ওরুফে লালু ও তার ভাই সদর থানায় ছবি লাগানো কুখ্যাত ছিনতায়কারী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবেদসদ ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল । সাংবাদিককে রক্ষা করতে এসে এই হামলায় রাহাত নামে একজন ছাত্রলীগকর্মি আহত হয় ।
আওয়ামিলীগ নেতারা বলেন- সন্ত্রাসী ও হাসপাতাল দালাল রাব্বি ওরুফে লালু ও কুখ্যাত ছিনতায়কারী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবেদ এর পক্ষে ডাঃ জাকারিয়ার চেম্বারে কিভাবে যুব-লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান পদবীপ্রাপ্ত নেতারা যায়। ডাঃ জাকারিয়ার চেম্বারের সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়- জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি এ কে বাবু, সাবেক শহর ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক তপন, সাবেক শহর আওয়ামী যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তৈয়মূর প্রকাশে নজীর তাছাড়া আরও অনেকেই ছিল যারা আওয়ামীলীগের সাথে সক্রিয় জড়িত ।
এই ঘটনায় মোঃ আজহার উদ্দিন এর বড়ভাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এডভোকেট মাসুম বিল্লাহ ও বোনের জামাই ঠিকাদার নুরুল আমীন নুরু বাদী হয়ে সদর থানায় দুইটি মামলা
দায়ের করেন । মামলার আসামীরা হল ১. রাব্বি ওরুফে লালু, পিতা- মরহুম মালেক মিয়া ২. আবেদ মিয়া, পিতা- মরহুম মালেক মিয়া ৩. রাজীব, পিতা-অজ্ঞাত । ৪. মহিউদ্দিন, পিতা- অজ্ঞাত, এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ আসামি আছেন । সর্বসাং সরকারপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। পাঁচদিন হয়ে গেল, এখনও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি ।