• শিরোনাম

    পরিকল্পিত ধর্ষণ, বললেন সাফাত-সাদমান

    সিবি নিউজ ডেস্কঃ | রবিবার, ১৪ মে ২০১৭

    পরিকল্পিত ধর্ষণ, বললেন সাফাত-সাদমান

    রাজধানীর বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই দুই তরুণীকে পরিকল্পিতভাবেই ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ। রিমান্ডের প্রথম দিনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছেন তারা।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্য গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম।

    তিনি জানান, তারা এ কাজটি করবে তা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন সাফাত ও তার বন্ধুরা। এজন্য বিভিন্ন সময় সুযোগ খুঁজছিলেন। এরপর সাফাতের জন্মদিন উপলক্ষে তাদের দাওয়াত দেয়া হয় হোটেলটিতে। তাদের সঙ্গে মাত্র ১৫ দিনের পরিচয়। আর এ পরিচয়ের সুযোগ কাজে লাগায় তারা। সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে মাথায় রেখে তারা এ চিন্তা করেন।

    সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ ঘটনার দুই দিন আগে থেকে হোটেলের রুম বুকিং দেন তাদের আরেক বন্ধু নাইম আশরাফের সহায়তায়। ঘটনার দিন বিকেল থেকেই তারা মদ পান করে হোটেলে অবস্থান নেন। পরে কেক কাটার কথা বলে রুমে ঢুকিয়ে তাদের খাবারে সঙ্গে জোর করে মদ পান করান। পরে এক পর্যায়ে ধর্ষণ এবং নানা ধরনের অত্যাচার করে বলে স্বীকার করেছে।

    এ ঘটনায় ধর্ষিতার দুই বন্ধুকেও শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

    পুলিশকে সাফাত বলেন, ধর্ষণ কোনো ঘটনা নয়। আমি প্রতিদিন কোনো না কোনো হোটেলে এরকম কাজ করেই থাকি। এটি আমার কাছে কোনো ধর্ষণ মনে হয় না। এ বয়সটা হলো উপভোগ করার বয়স; তাই আমি উপভোগ করছি। এটা কোনো অন্যায় না। বাবা আমার বিষয়ে সবই জানে। বাবা আর আমি মাঝে মাঝে এক সঙ্গেই মদ খেয়ে থাকি। এটা কোনো ঘটনাই না।

    জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, দুই বছর আগে টেলিভিশন উপস্থাপিকা ও মডেল পিয়াসাকে বিয়ে করেন সাফাত। তার আগে আমেরিকায় গ্রিনকার্ড পাওয়া এক বাঙালি মেয়েকেও বিয়ে করেন। পরে তাকেও ছেড়ে দেন বলে জানান তিনি।

    নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ-তে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি সাফাত। তৃতীয় সেমিস্টারেই ঝুলে আছে তার পড়াশোনা। তবে তা শেষ করতে না পারলেও বেপোরোয়া জীবনযাপনে ছিলেন বেশ এগিয়ে।

    প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে। সেখানে অস্ত্রের মুখে তাদের হোটেল কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

    আসামিরা হল সাফাত আহমেদ, সাদনান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী (অজ্ঞাত)।

    অভিযুক্তদের মধ্যে সাফাত ও সাদমান গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট থেকে গ্রেফতার হয়। পরে শুক্রবার ঢাকার একটি আদালত সাফাতকে ছয় দিন ও সাকিফকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেন। বাকি দুই নম্বর অভিযুক্ত নাঈম, বিল্লাল ও দেহরক্ষী পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম