• শিরোনাম

    মন্ত্রী সায়েদুলকে চ্যালেঞ্জ মোকতাদির চৌধুরী এমপির

    জাবেদ রহিম বিজন: | সোমবার, ০১ মে ২০১৭

    মন্ত্রী সায়েদুলকে চ্যালেঞ্জ মোকতাদির চৌধুরী এমপির

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মন্ত্রী সায়েদুল হককে। তার বিরুদ্ধে সায়েদুল হকের আনা বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, আমি ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে জুতাপেটা খেতেও রাজি আছি। মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মন্ত্রী জাতীয় পার্টির এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে নিয়ে সব করছেন। আওয়ামী লীগের অন্য যারা তার সঙ্গে রয়েছে তারাও কোনো না কোনো সময় জাতীয় পার্টি করত। অন্যদিকে সায়েদুল হক আওয়ামী লীগ ধ্বংসের জন্য মোকতাদির চৌধুরীকে দায়ী করেছেন। নাসিরনগর হামলার জন্যও তিনি দায়ী করেন তাকে। ইউপি নির্বাচনে কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগও করছেন জোরেশোরে। জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সরাইল-আশুগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেছেন- সায়েদুল হকের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। বরং অতীতে তিনি (মোকতাদির চৌধুরী) আমার নির্বাচনী এলাকায় অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছেন। আমি নীরবে সহ্য করেছি।
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, সরাইল ও আশুগঞ্জে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সায়েদুল হকের সফরকে কেন্দ্র করে আবারো সায়েদুল-মোকতাদির বিরোধ সামনে এসেছে। আশুগঞ্জে কালো পতাকা মিছিল হয়েছে মন্ত্রীর সফরের প্রতিবাদে। বিজয়নগরে সায়েদুলকে প্রতিহত করতে দেয়া হয় হরতাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন বিজয়নগরসহ আরো ৩ উপজেলা আশুগঞ্জ, সরাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারার মধ্যেই কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করে মোকতাদির সমর্থকরা।
    ডিসেম্বরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরই জেলা আওয়ামী লীগের বিভক্তি খোলাখুলি হয়ে যায়। নির্বাচনে জয়ী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল আলম এমএসসিকে কেন্দ্র করে ঘুরে দাঁড়ান আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ট আমানুল হক সেন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি তাজ মো. ইয়াছিন শফিকুল আলমকে সমর্থন দেন। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ ও যুবলীগের আরো ৩/৪জন নেতা যোগদেন তাদের দলে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সায়েদুল হক রয়েছেন তাদের ওপরে। মার্চের ২৩ তারিখে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সায়েদুল হক এর প্রমাণ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে জেলা আওয়ামী লীগ। ওই সংবর্ধনা সভায় সায়েদুল হক নাসিরনগর হামলার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দু-নেতাকে দায়ী করেন এবং মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেন। এরপরই আসে মন্ত্রীর তিন উপজেলা সফর।
    বছর খানেক আগে মন্ত্রী ছায়েদুল হক ও সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নকে ঘিরে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাসিরনগর ডাকবাংলোয় বসে মন্ত্রী তার উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের প্রার্থী চূড়ান্ত করেন। একটি ইউনিয়নে রাজাকার পুত্রকে এবং অন্য আরো কয়েকটি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানদের মনোনয়ন বিমুখ করেন মন্ত্রী। এই অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগ সেখানে হস্তক্ষেপ করে। তারা ৫টি ইউনিয়নে প্রার্থী পরিবর্তনের প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্রে। এর মধ্যে হরিপুর ও গুনিয়াউক ইউনিয়নে সায়েদুল হক মনোনীত প্রার্থী বাদ পড়ে। হরিপুরে দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি এবং গুনিয়াউকে গোলাম সামদানী পিয়ারু মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশে। জেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ ওই দুই ইউনিয়নে মন্ত্রী সায়েদুল হক দলের প্রার্থীদের বিরোধিতা করেছেন। এ কারণে ওই বছরের ২৫শে জুন জেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সংসদের এক সভায় সায়েদুল হকের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তাকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারণ দর্শাও নোটিশের জবাব না দেয়ায় ২৩শে সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় সায়েদুল হককে। এরপরই সায়েদুল হক মুখ খুলেন জেলা আওয়ামী লীগের দু-শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে। বলেন তারা ওই দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী দিয়ে সোয়া এক কোটি টাকা নিয়েছেন। সায়েদুল হকের এ বক্তব্যের পর মন্ত্রিপরিষদ থেকে তার অপসারণ চেয়ে মিছিল-সমাবেশ করে জেলা যুবলীগ। হরিপুর ও গুনিয়াউকের প্রার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র সংবাদ সম্মেলন করে সায়েদুল হকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এই বিরোধ আরও তীব্র হয় গত বছরের অক্টোবরে নাছিরনগরে সংখ্যালঘুর বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর। মন্ত্রীর অভিযোগ, মোকতাদিরের অনুসারীরা তার নির্বাচনী এলাকায় এসে সহিংসতা ঘটায় তাকে বেকায়দায় ফেলতে।
    জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়রসহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন- মোকতাদির চৌধুরী আর আল মামুন সরকারই দলের সবকিছু। আগে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে দলের কর্মকাণ্ড চললেও এখন তা হচ্ছে না। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিও তারা নিজেদের মতো করে করেছেন। এতে অনেককে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এখনো বিভিন্ন পকেট কমিটি করছেন তারা। পৌরসভার নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য ৬ জনের যে কমিটি হয়েছিল এর মধ্যে ৪ জনই আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
    জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন- মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রশ্নই আসে না। মনোনয়নে কোথাও কোনো অনিয়ম নেই। প্রত্যেক উপজেলা কমিটি মনোনয়ন ঠিক করেছে। এর সঙ্গে জেলার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এসব অভিযোগ দিয়েছিল। এরপরই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এখানে বর্ধিত সভা হয়। সেখানে নাসিরনগরসহ জেলার সব উপজেলার নেতারা বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগ এখানে ’৭৫-র পর সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ও সংগঠিত। তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সায়েদুল হক কখনোই কোনো সম্পর্ক বজায় রাখেননি। এখন তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের নামে বিতর্কিত লোকদের নিয়ে সুধী সমাবেশ করে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি এবং সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করছেন। সেসব সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মন্ত্রী অশোভন ও সংগঠনবিরোধী বক্তব্য দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন। সদর সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তার বিরুদ্ধে উঠা-নানা অভিযোগের জবাব এবং দলের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন মানবজমিনের কাছে। মোকতাদির চৌধুরী বলেন- সায়েদুল হকের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। সাংগঠনিকভাবে তিনি কখনো জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে রাজনীতি করেননি। এখনো করছেন না। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হয়েছে ২০১৪ সালে। এখন ১৭ সাল। কিন্তু গেল ৩ বছরে কেউ কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি। কমিটি হয়েছে সকলের মতামতের ভিত্তিতে। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, আমি অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চুর লোকজনকে বাইপাস করে কমিটি করেছি। এটাও সর্বৈব মিথ্যা। সাচ্চু সাহেবের অনুসারী ৪০/৪৫জন আছেন বর্তমান কমিটিতে। আমরা মিলেমিশেই কাজ করছি। তিনি বলেন ইউপি নির্বাচনের সময় আমি দেশের বাইরে ছিলাম। সেখান থেকে আসার পর জানতে পারি সায়েদুল হক জেলা আওয়ামী লীগকে পাশ কাটিয়ে একটি তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। এরপরই আমরা পাল্টা প্রস্তাব দিই। আর যারা নমিনেশন পেয়েছেন তাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিও না। এনিয়ে সায়েদুল হক টোটালি মিথ্যাচার করছেন। আমি সামনা-সামনি বসে এনিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি যদি তিনি এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আদালতের বিচার লাগবে না, প্রধানমন্ত্রীর বিচার লাগবে না, আমি উপস্থিত জনতার সামনে জুতাপেটা খেতে রাজি আছি। আর প্রমাণ করতে না পারলে তিনি জুতাপেটা খেতে রাজি আছেন কিনা। মোকতাদির বলেন, তার এসব অভিযোগ আমাকে ভীষণভাবে আহত করেছে। আমি এসবের জবাব দিই না। তিনি যে ভাষায় কথা বলেন আমি সে ভাষায় কথা বলি না। তিনি অশ্লীল, অশ্রাব্য, অভদ্রজনিত ভাষায় কথা বলেন। তিনি বলেন জেলা আওয়ামী লীগ আমার একক সিদ্ধান্তে চলে না। তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়ার্কিং কমিটি। সর্বসম্মতভাবে সেটি পাস হয়, একজনও আপত্তি করেনি। মোকতাদির চৌধুরী দাবি করেন জেলা আওয়ামী লীগে কোনো বিভাজন নেই। ২ জন সহ-সভাপতি ও একজন সদস্য সামগ্রিক অবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন একজন সহ-সভাপতি আছেন যিনি কয়েকদিন পরপর বিভিন্ন দলে যান, বিদ্রোহ করেন। সায়েদুল হকও কোনো ডিসিপ্লেন মানেন না। ডিসিপ্লেন মানেন না বলেই তিনি ১৯৯১ সালে একবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। যারা তার সঙ্গে গিয়েছেন তারাও মহা অপরাধ করেছেন। তারা দলের ডিসিপ্লেন ভঙ্গ করেছেন। আমি সুস্পষ্ট করেই বলছি, সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন আমার কাছে টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন। আমার নির্বাচনে কাজে লাগবে বলে তিনি এই টাকা দিতে চেয়েছিলেন। আমি তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে টাকা নেয়া, চাঁদাবাজি করার অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব। সায়েদুল হক আশুগঞ্জ সরাইল বিজয়নগর গেছেন জাপার এমপির আমন্ত্রণে। জাপার এমপি জিয়াউল হক মৃধার একটা স্বার্থ আছে। তার মেয়ের জামাইকে গত নির্বাচনে সদরে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। সে নির্বাচন করবে না বলে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলে আমি নির্বাচন করি। তাদের সবার লক্ষ্য একটাই আগামী নির্বাচনে আমি যেন প্রার্থী হতে না পারি। প্রার্থী হলে পাস যেন না করতে পারি। এখানে বিএনপির যিনি প্রার্থী হবেন আমার কাছে খবর আছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য তার অর্থ সাপোর্ট আছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, শুধু মৃধা নয় আওয়ামী লীগের যারা এখন সায়েদুল হকের সঙ্গে আছেন তারাও কোনো না কোনো সময় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। তারা সবাই মিলে সায়েদুল হককে ব্যবহার করে এখানে আওয়ামী লীগে অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন। মোকতাদির চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে সরাইল-আশুগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন- যা ঘটছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনো রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা আমার কর্ম নয়। আমি জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক। আমি চাই জেলায় সুস্থধারার রাজনীতি চালু হোক, গণতান্ত্রিক পরিবেশ হোক। মন্ত্রী সায়েদুল হক আমার নির্বাচনী এলাকায় এসেছিলেন বলে আমি প্রটোকল রক্ষায় তার অনুষ্ঠানে গিয়েছি। আশুগঞ্জে তারা আমাকে একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও আরেকটিতে সভাপতি করেছেন। আমি না গেলে হয়তো তারা বলতেন জাতীয় পার্টির এমপি বলে আমি তাদের অনুষ্ঠানে যাইনি। তবে আমি সেখানে উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য রাখিনি। সায়েদুল হক আমার পাশের উপজেলার। আমি নাসিরনগর বা সচিবালয়ে কোথাও গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করিনি। এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আর আমার মেয়ের জামাইয়ের কথা যেটি বলা হচ্ছে সে তার প্রতিভা বা কর্মদক্ষতা বলে যদি টিকিট পায় পাবে। তাতে আমার কিছু করার নেই। সে তার রাজনীতি করে। আমি আমার রাজনীতি করি।

    সূত্র-মানবজমিন

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম