• শিরোনাম

    বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হরষপুর রেলওয়ে স্টেশন

    এস.এম. জহিরুল আলম চৌধুরী(টিপু): | বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

    বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হরষপুর রেলওয়ে স্টেশন

    “আনন্দ ভ্রমন আর নিরাপদ াজীবন” বাংলাদেশ রেলওয়ে যোগাযোগ। কিন্তু সঠিক তদারকি আর লোকবলের অভাবে ভেঙ্গে পড়ছে অধিকাংশ রেলওয়ে স্টেশনের সঠিক কার্যক্রম।
    ঢাকা-সিলেট রেল পথের আখাউড়া সেকশনের রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে হরষপুর স্টেশন নানা সমস্যায় জর্জড়িত। এতে করে প্রতিনিয়ত যাত্রীরা পোহাচ্ছে চরম দূর্ভোগ। জনবল সংকটে এখানকার যাত্রী সেবার মান দিন দিন ভেঙ্গে পড়েছে। এই স্টেশনে ২০ জনের মধ্যে লোকবল রয়েছে মাত্র ৫ জন। বিশ্রামাগার থাকলে নেই কোন পানির সরবরাহের ব্যবস্থা। অপর দিকে যাত্রী তুলনায় রয়েছে টিকেট সংকট, ভিক্ষুক ও হকারদের অবাধে বিচরণ। যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা পাশাপাশি রয়েছে মাদক সেবীদের দৌরাতœ্য, বখাটে আর চোর ও ছিনতাইকারীদের আনাগোনায় যাত্রীরা এখানে এসে পড়ে নানা রকম সমস্যায়। বিগত কয়েক বছর পূর্বে এই স্টেশনটি আধুনিকায়নের জন্য বিপুল অংকের টাকা ব্যয়ে করে কাজ করা হয় মাধবপুর উপজেলার হরষপুর রেলওয়ে স্টেশন। বিশ্রামাগার, টিকেট কাউন্টার,প্লাটফরমসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা রাখা হলেও কিন্তু যথাসময়ে পদক্ষেপের অভাবে এগুলো ক্রমান্বয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে এই রেলওয়ে স্টেশনটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জড়িত হয়ে যাত্রী সাধারণের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্টেশনের টিকেট কালেক্টর না থাকায় ট্রেনের যাত্রা বিরতিকালে বিনা টিকেটের যাত্রী, হকার ও বখাটেদের ভীড় এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তাড়াহুড়া আর হুড়াহুড়ি করে প্লাটফরমে মারাত্মক বির্শংখলা দেখা দেয়। এতে করে ঘটে নানা রকম দূর্ঘটনা।
    ঢাকা-সিলেট ও সিলেট- চট্টগ্রাম রেল পথের মধ্যে চলাচলকারী আন্তঃনগর পাহাড়িকা, জয়ন্তিকা, কুশিয়ারা, জালালাবাদ, সুরমা মেইল ও আখাউড়া থেকে শায়েস্তাগঞ্জগামী ডেমু এক্সপ্রেস ট্রেন হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি করে । এই স্টেশনের মাধ্যমে মাধবপুর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল ও পার্শবর্তী বিজয়নগর উপজেলার অধিকাংশ এলাকার লোকজনের যাতায়াত রয়েছে এ হরষপুর রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে। স্টেশনটিতে ২ জন সহকারী মাষ্টার থাকার কথা থাকলে এখানে একজনও কর্মরত নেই। পয়েন্টস ম্যান আছে ২ জন, পোর্টাল ২ জন থাকার কথা থাকলেও এখানে কেউ নেই। গুডস ক্লার্কের পদটি দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য রয়েছে এবং ৩ জন সুইপারের পদ থাকা সত্ত্বেও কর্মরত রয়েছে মাত্র ১ জন সুইপার। বিশ্রামাগারগুলোতে পানি সরবরাহ না থাকায় বাথরুমে দূর্গদ্ধ ছড়াচ্ছে চর্তুর দিকে। বিশ্রামাগারটি ব্যবহারে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে স্টেশনের যাত্রী ছাউনির প্লোর ভাঙ্গা ও খানা খদ্দরে ভরপুর । এতে করে প্রতিনিয়ত ঘটে নানা রকম দূর্ঘটনা।
    জনবল সংকটের কারণে প্রদিদিন দুপুর ২ টার পর থেকে কয়েক ঘন্টার জন্য স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় বলে এলাকাবাসির অভিযোগও রয়েছে।
    সরেজমিনে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের টিকেট কাউন্টারটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে কার্টুন আর মলাট দিয়ে মুড়ানো কোন রকম ভাবে জুড়াতালি দিয়ে টিকেট কাউন্টারের কার্যক্রম চলছে। হরষপুর রেলওয়ে স্টেশন লোকবল সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
    শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ভৈরব অভিমুখী বাল্লা লোকাল ট্রেনটি প্রতিদিন সকালে চলাচল করত। কিন্তু ইদানিং এই ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার শায়েস্তাগঞ্জ এবং আখাউড়া থেকে ডাকের মারাতœক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে করে চাকুরী প্রত্যাশিত প্রার্থীদের ইর্ন্টাভিউ কার্ড, প্রবেশপত্র , বিভিন্ন সরকারী ডকুমেন্ট, ডাক বিভাগের মাধ্যমে আসত। ইদানিং বাল্লা লোকাল ট্রেনটি বন্ধ থাকার কারণে ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখিত হচ্ছে এলাকাবাসি এবং শস্কিত শিক্ষার্থীরা। এলাকাবাসির জোড় দাবী অতি শীঘ্রই বাল্লা লোকাল ট্রেনটি চালু করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে সু-দৃষ্টি কামানা করেন।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম