• শিরোনাম

    লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনে ১২জনের মৃত্যুর খবর: বাঙালী পরিবার নিখোঁজ

    সিবিবার্তা ঃ | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০১৭

    লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনে ১২জনের মৃত্যুর খবর: বাঙালী পরিবার নিখোঁজ

    লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনে এপর্যন্ত ৬জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বিবিসি। আহত আরো  ৬৮ জনের বেশি বলে জানাগেছে। তাদেরকে ৬টি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০জনের অবস্থা আশংকাজনক। গতকাল রাত ১টার দিকে আগুন লাগে ২৭ তলা এই টাওয়ারে। উক্ত টাওয়ারে দেড়শর মতো ফ্ল্যাট রয়েছে এতে প্রায় ৬শ লোকের বসবাস। এর মধ্যে অধিকাংশ লোককে বের করে আনা সম্ভব হলেও বহু লোক মারাগেছেন আশংকা করতে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে বাঙালী একটি পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ রয়েছেন। এই ভবনের ১৪২ নম্বর ফ্ল্যাটে কমরু পরিবার থাকেন বলে তার স্বজনরা জানান।

    মঙ্গলবার রাতে ওই ভবনটিতে আগুন লাগে; তা নেভাতে বুধবার দুপুর গড়িয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত অবস্থায় ৭৪ জনকে উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে।

    কমরু মিয়ার ভাতিজা যুক্তরাজ্যেরই চেলসির বাসিন্দা আবদুর রহিম বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকের লন্ডন প্রতিনিধি সৈয়দ নাশাস পাশাকে জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর রাতে তার চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে তার টেলিফোনে কথা হয়েছিল। তথন তিনি বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন।

    “রাত আড়াইটার দিকে তানিমার (হাসনা বেগম তানিমা) সঙ্গে কথা হয়। তার আকুতি এখনও আমার কানে ভাসে। সে বলছিল, ‘আমরা সবাই এখন বাথরুমে, আমাদের বের হওয়ার কোনো উপায় নেই, দোয়া করেন আমাদের যেন কষ্টে মৃত্যু না হয়’।”

    ৯০ বছর বয়সী কমরু মিয়া বছর খানেক আগে সপরিবারে গ্রিনফেল টাওয়ারে ওঠেন বলে জানান রহিম। কমরুর বড় ছেলে আব্দুল হাকিম তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকেন। অন্য দুই ছেলে আব্দুল হামিদ, আব্দুল হানিফ ও মেয়ে তানিমা বাবা-মার সঙ্গে থাকেন।

    তাদের কারও মোবাইল ফোনেই রাত আড়াইটার পর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে রহিম জানান। “চাচাত ভাইকে (হাকিম) নিয়ে রাত থেকে বিল্ডিংয়ের নিচে ছিলাম। কোনো খবর পাচ্ছি না তাদের।” পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেই এখনও কোনো খবর পাননি বলে রহিম জানান।

    এদিকে বিবিসি ৬জনের মৃত্যুর খবার নিশ্চিত করলে ও ডেইলি বলছে ডজনেরও বেশি লোক মারাগেছেন।  স্থানীয় সূত্রে ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানাগেছে এই ভবনে বহু বাংলাদেশী পরিবার এবং অন্যান্যদেশের মুসলিম পরিবার ও রয়েছেন। অন্যদিকে ডেইলি বলছে এই ভবনে ৬০০ বাসিন্দা ছিল। তাদেরকে উদ্ধারে ৪০টি ফায়ার সার্ভিসের ইঞ্চিন ও ২০০ ফায়ার ফাইটার অংশ নিয়েছে।

    পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং এম্বুলেন্স সার্ভিসের পক্ষ থেকে যৌথ প্রেসকনফারেন্সে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। অনেক পরে পুলিশ নিহতের কথা নিশিত করে। তবে একান্ত জরুরী কিছু ছাড়া ৯৯৯ নাম্বারে কল না করে  ১১১ নাম্বারে কল দিতে লন্ডনবাসিদের আহ্বান জানানো হয়েছে। লন্ডন মেয়র সাদিক খান ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে হতবাক হয়েছেন। উদ্ধারকর্মী এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহমর্মিতা জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনাকে লন্ডনের সবচাইতে বড় ঘটনা বলে উল্লেখ করেন মেয়র সাদিক খান। আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনটি নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারের মতো ধ্বসে যাবে।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম