• শিরোনাম

    নভেম্বরে এশিয়ার ৫ দেশ সফরে আসবেন ট্রাম্পের

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : | শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

    নভেম্বরে এশিয়ার ৫ দেশ সফরে আসবেন ট্রাম্পের

    উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার মধ্যেই চলতি বছরের নভেম্বরে এশিয়ার পাঁচটি দেশ সফর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৩ নভেম্বর শুরু হওয়া তাঁর এই সফর শেষে হবে ১৪ নভেম্বর।

    ১২ দিনের এই সফরে স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে ট্রাম্প যাবেন এশিয়ার শক্তিশালী রাষ্ট্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনে। এই দেশগুলোতে সফরের সময়টাতে আলোচনায় ঘুরেফিরে থাকবে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের হুমকির বিষয়টি।

    রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এশিয়া সফরে দুটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ট্রাম্প। এর মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (অ্যাপেক) সম্মেলন ও ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান ন্যাশনসের (আসিয়ান) বৈঠক।

    ফিলিপাইনের একটি পৌর এলাকার মেয়র থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া রদ্রিগো দুতের্তের যুক্তরাষ্ট্রবিদ্বেষী বক্তব্যের কারণে ট্রাম্প ম্যানিলায় আসিয়ানের বৈঠকে যেতে রাজি ছিলেন না। তবে জাতিসংঘে সাধারণ অধিবেশন চলাকালে এশিয়ার কিছু নেতা ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের বিষয়ে নমনীয় অবস্থানে আনেন ট্রাম্পকে।

    আন্তর্জাতিক হুমকি-ধমকি ও নিষেধাজ্ঞার পরও উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনের মধ্যে বাকযুদ্ধ চরমে।

    কিম জং-উনকে ‘ক্ষেপণাস্ত্র-মানব’ আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ট্রাম্প ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত ভীমরতিতে ভোগা বুড়ো’ বলেছেন কিম। তাঁরা দুজনই দুই দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তবে উত্তর কোরিয়া এক ধাপ এগিয়ে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও হামলার হুমকি দিয়েছে।

    ট্রাম্পের সফর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়ার হামলার হুমকির ফলে যে সমস্যার তৈরি হয়েছে, তা সমাধানে তাদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে ট্রাম্প কাজ করবেন। তিনি চেষ্টা করবেন, পরমাণু কর্মসূচি থেকে উত্তর কোরিয়ার সরে আসার অনমনীয় যে মনোভাব, সেখান থেকে তাদের সরিয়ে আনার।’

    গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সব ধরনের ব্যাংকিং সম্পর্ক ছিন্ন করার যে সিদ্ধান্ত চীনের প্রেসিডেন্ট নিয়েছেন, সেটার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছি। দুই মাস আগেও উত্তর কোরিয়ার মানুষ ভাবতেও পারত না চীন তাদের সঙ্গে এ রকমটা করতে পারে। এ জন্য আমি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাই।’

    ট্রাম্প চীন সফরে যাবেন এবং উত্তর কোরিয়ার ওপর আরো চাপ আরোপ করার ওপরও জোর দিবেন বলেও রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম