• শিরোনাম

    বিএনপির নগর সম্পাদকের হাতে লাঞ্চিত জেলা সম্পাদক

    সিবি অনলাইন ডেস্কঃ | বুধবার, ১৭ মে ২০১৭

    বিএনপির নগর সম্পাদকের হাতে লাঞ্চিত জেলা সম্পাদক

    শাহ মখদুম বিমানবন্দরে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন জেলার সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্টু।

    মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে নগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

    তবে ঘটনাটি মতিউর রহমান মুন্টু স্বীকার করলেও এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন শফিকুল হক মিলন। এদিকে এ নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি নগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিমানে তুলে দিতে যান জেলার সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্টু ও নগরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ নেতাকর্মীরা। বিকাল সাড়ে ৩টার বিমানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিমানে উঠেন। বিমান ছেড়ে যাওয়ার পর বন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তর্কে জড়িয়ে পড়েন মুন্টু ও মিলন। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মুন্টুকে ধাক্কায় দিয়ে ফেলে দেয়া হয়।

    জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্টু  বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় শফিকুল হক মিলন আমাকে বলে জেলার বিভিন্ন ইউনিটে আমি যাব। বেগম খালেদা জিয়া আমাকে দায়ীত্ব দিয়েছেন। এ সময় আমি তাকে বলি, আপনি নগর ইউনিটের দায়িত্ব আছেন নগরীতেই থাকেন। জেলা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। বেগম খালেদা জিয়া যদি আপনাকে জেলার দায়িত্ব দিয়ে থাকে তবে ঢাকায় চলেন। আমাদের সামনে যদি খালেদা জিয়া বলেন তা হলে আমাদের কোন আপত্তি নেয়। এর আগে জেলা নিয়ে মাথাঘামাতে আসেন না।’

    ‘এ কথা বলার সাথে সাথে উত্তেজিত হয়ে মিলন আমার গায়ে হাত তুলে এবং ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।’ এরপর মিলনের লোকজন তাকে দ্বিতীয় দফায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তার গায়ের পাঞ্জাবী টেনে ছিড়ে ফেলে। এ সময় মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গিয়ে তাকে রক্ষা করেন বলে জানান মুন্টু।

    এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেখানে কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করে শফিকুল হক মিলন ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনার কথা কেউ বলে থাকলে তা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। মুন্টু আমার বড় ভাই ও রাজনীতিক সহকর্মী। তার সঙ্গে আমার কোন ঘটনা ঘটেনি।’

    উল্লেখ্য, জেলা ও মহানগর কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে রাজশাহী এসেছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সোমবার নগর বিএনপির কর্মী সম্মেলন ও মঙ্গলবার জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সম্মেলন হয়। জেলা ও নগরে দুই সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

     

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম