• শিরোনাম

    হাওরের মরা মাছের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

    চিনাইরবার্তা ডেস্কঃ | মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

    হাওরের মরা মাছের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

    হাওরের মরা মাছের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

    সূত্র জানায়, মৎস্য আইন নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পত্র-পত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি- এত পরিমাণ মাছ মারা গেছে, এত পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু মাছ মারা যাওয়ার পরিসংখ্যান তারা কোথায় পেল? কত মাছ মারা গেল সেটা কে মাপল আর কিসের ভিত্তিতে বলল? কোন তথ্য ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এসব লেখা হচ্ছে?

    অন্য মন্ত্রীরাও এ আলোচনায় যোগ দেন বলে বৈঠকে অংশ নেয়া দুই মন্ত্রী জানান। তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সমর্থন করে বক্তব্য দেন।

    এসময় কোনো এক সংবাদপত্রে আট হাজার মেট্রিক টন মাছ মারা গেছে এমন খবর ছাপা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এক মন্ত্রী।

    এছাড়া হাওর এলাকায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন তৎপরতা জোরদার করতে এবং তা আগামী এক বছর ধরে চালাতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেক মন্ত্রীকে ওই এলাকার জন্য সরকারের গৃহিত ত্রাণ কার্যক্রম ফলাও করে প্রচারের নির্দেশ দেন তিনি।

    অনির্ধারিত আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহ বা অন্যান্য দেশের মতো ইপিজেডে ভিন্ন নামে ট্রেড ইউনিয়ন করার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সংশ্লিষ্টদের সেটা খুঁজে দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    সূত্র মতে, অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা ইপিজেডে ট্রেড নিউনিয়নের অনুমতি দেয়া নিয়ে চাপ দিচ্ছেন, সেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বা অন্যান্য দেশেও তো ট্রেড ইউনিয়ন নেই। যা আছে সেটা বিকল্পভাবে ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বা অন্য নামে আছে। আমাদের এখানে অন্য নামে কিছু করা যায় কিনা আপনারা (মন্ত্রী) দেখেন।’

    সূত্র জানায়, সংসদের আগামী অধিবেশনে ইপিজেড আইন পাসের জন্য উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। তবে এই আইনটি আরও যাচাই-বাছাই করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মতামতের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যুপোযোগী করার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় ফেরত পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তৈরি পোশাক যদি তারা না নেয়, তাহলে তারা পোশাক পাবে কোথায়। এটা নিয়ে এতো চিন্তার কোনো কারণ নেই।’

    সূত্র আরও জানায়, এ সময় রানা প্লাজার দুর্ঘটনার বিষয়টিও আলোচনায় আসে।

    এদিকে মন্ত্রিসভার এ বৈঠকে হাওর এলাকায় পানিতে ইউরেনিয়াম ও মাছের মৃত্যুর বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। ইউরেনিয়াম পাওয়া গেলে তো ভালো, ইউরেনিয়াম অনেক দামি, এটা সংগ্রহ করা যেতে পারে- এ বলে মন্ত্রীরা বৈঠকে হাসাহাসি করেন।

    তবে আলোচনায় অংশ নিয়ে এক মন্ত্রী হাওরের পানিতে ইউরেনিয়াম আছে এ রকম প্রচারণাকে উদ্দেশ্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারতবিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবেই বলা হচ্ছে- আসাম থেকে ইউরেনিয়াম এসে হাওরের পানি দূষিত করেছে।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম