• শিরোনাম

    দুই বিচারক হত্যাকারী জঙ্গির ফাঁসি রোববার

    | রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৬

    দুই বিচারক হত্যাকারী জঙ্গির ফাঁসি রোববার

    দুই বিচারক হত্যার ঘটনায় খুলনা জেলা কারাগারে এক জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হতে যাচ্ছে। প্রায় এক যুগ পর এই কারাগারে কোনো ফাঁসি কার্যকর হবে।

    রোববার রাতে এ ফাঁসি কার্যকর হতে পারে বলে প্রশাসন ও কারা সূত্রে জানা গেছে।

    ফাঁসি কার্যকর হতে যাওয়া আসামি জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ-জেএমবি’র সদস্য আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফ।

    প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যার দায়ে আরিফের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।

    খুলনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর-ই-আলম জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টায় জেএমবি সদস্য আরিফকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

    তিনি জানান, এজন্য কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ।

    খুলনা জেল সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ফাঁসি কার্যকর করা হবে। তবে এ বিষয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা পরে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো।’

    সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, খুলনা জেলা কারাগারে ২০০৪ সালে কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকরের পর কোনো আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

    জেএমবি সদস্যরা ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যায় অংশ নেয়।

    এরপর ২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ সাতজনের ফাঁসির আদেশ দেন। এ মামলায় ইতিমধ্যে ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

    জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের বাড়ি বরগুনা জেলা সদরে। আরিফ ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম