• শিরোনাম

    আমাদের সাইবার সক্ষমতা বাড়ছে: জুনাইদ আহমেদ

    | মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০১৬

    আমাদের সাইবার সক্ষমতা বাড়ছে: জুনাইদ আহমেদ

    ‘যেখানে সম্পদ থাকে, সেখানে চোর-ডাকাতের হামলা হয়। এর অর্থ, আমাদের সাইবার সক্ষমতা বাড়ছে। অনেক বিশেষজ্ঞদের দেশেও সাইবার ঝুঁকি আছে। তাই আমাদের ভয় পেলে চলবে না। সবাই মিলে কাজ করতে হবে।’

    আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়াশিংটন হোটেলে ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি’ শীর্ষক দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এ কথা বলেন।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে দ্রুত ডিজিটাইজেশন হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে আমরা একটার পর একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করি। ইন্টারনেটে সার্ভিস দোরগোড়া পৌঁছে দেওয়ায়, ডিজিটাল ইকোনমি বাড়তে থাকায় আমাদের দেশে সাইবার হুমকি বাড়ছে। এসব হুমকি মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ১২টি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলোতে অধিক সাইবার নিরাপত্তা দিতে হবে।’

    জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ডেটা ও সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের আরও সতর্ক হতে হবে। এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তার জন্য আইন দরকার। এ জন্য আইসিটি বিভাগ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট তৈরিতে কাজ করছে। সাইবার সিকিউরিটি রেসপন্স টিম ছোট আকারে তৈরি করা হয়েছে। কোরিয়ার সহায়তায় সিআইডিতে ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, যা শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে। আমরা এভাবে ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য তৈরি হচ্ছি।’
    বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে সাইবার হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে নিরাপত্তা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাইবার নিরাপত্তায় অধিক শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে ১২ এপ্রিল থেকে দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। এতে সহযোগিতা করছে আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল।
    প্রশিক্ষণে পুলিশ, সিআইডি, এসবি, ডিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই, পিবিআই, বিভিন্ন ব্যাংক, বিটিআরসিসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ইন্টারনেট সোসাইটির বিশেষজ্ঞ কেভিন মেইনেল ও অ্যাপনিকের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ফখরুল আলম।
    আয়োজকেরা বলেন, রাষ্ট্রীয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নেটওয়ার্ক কীভাবে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত রাখা যায়, সে বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ পাবেন প্রশিক্ষণার্থীরা।
    অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন আইএসপিএবির সভাপতি এম এ হাকিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের কোঅর্ডিনেটর ফকির ফিরোজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে লোকাল ব্যান্ডউইট্‌থ স্থানান্তরের খরচ কমানোর আহ্বান জানানো হয়।
    ফকির ফিরোজ আহমেদ বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণে বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল সহযোগিতা করবে। এ ধরনের প্রশিক্ষণে বেশি অর্থ বরাদ্দ এতে প্রশিক্ষণার্থী বাড়বে।
    এম এ হাকিম বলেন, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন ব্যবসা প্রমোশন ছাড়াও মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে। প্রতিবছর প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আসছে ‘ফেসবুক টিভি’

    ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম