• শিরোনাম

    চলছে জাতীয় হ্যাকাথন

    | বৃহস্পতিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৬

    চলছে জাতীয় হ্যাকাথন

    কী করা উচিত আর কী নয়—সে বোধ যদি ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে তৈরি করা যায়, তবে সে শিক্ষা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে বলে মনে করেন ইমরান এ সাগর, সোহেল সরওয়ার, ফজলে রাব্বি, আজমল এইচ পলাশ ও আমিনুল হক। তবে বেরসিক কোনো রাস্তা না ধরে তাঁরা চেষ্টা করছেন খেলায় খেলায় সচেতনতা তৈরি করতে। আর তাই তাঁদের দল টেক্সল্যাব তৈরি করছে ‘সেভ দ্য সিটি’ নামের স্মার্টফোনের গেম। আমিনুল হক পড়ছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, অন্যরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবাই কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁরা অংশ নিচ্ছেন জাতীয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায়।
    গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি) কনভেনশন হলে শুরু হয়েছে টানা দুই দিনের এই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্বের এ আয়োজনে ১০টি দল মোবাইল ফোনের জন্য অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ বানাবে। আজ সারা দিন প্রতিযোগিতা চলার পর ঘোষণা করা হবে বিজয়ীদের নাম।
    জাতীয় হ্যাকাথনের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। তিনি বলেন, ‘হ্যাকাথনের মধ্য দিয়েই তৈরি হয়েছে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মতো নানা অ্যাপ। আমরা চাই জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এই হ্যাকাথন থেকে এমন কিছু উদ্ভাবন হবে, যা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়।’ সরকারের আইসিটি বিভাগের আয়োজনে এবং মুঠোফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের সহযোগিতায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
    বাংলালিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই তরুণ প্রোগ্রামাররা দেশের ভবিষ্যৎ।’
    এবারের হ্যাকাথনে কৃষি উৎপাদন, নবজাতক ও শিশু, সড়ক দুর্ঘটনা, শিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষক, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, জ্বালানি সক্ষমতা, শহরের পরিবেশ, টেকসই পর্যটন, সামুদ্রিক সম্পদ এবং দুর্নীতি—এই ১০টি সমস্যার সমাধান দিতে হবে, যা এসডিজি অর্জনে সহায়তা করবে। প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭০টি দল অংশ নিয়েছিল। সেরা উদ্ভাবনগুলোর বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগ সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করবে।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আসছে ‘ফেসবুক টিভি’

    ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম