• শিরোনাম

    মালয়েশিয়া কারাগারে বাংলাদেশী বন্দীদের জীবন সাক্ষাত জাহান্নাম ! অনাহারে ও অমানুষিক নির্যাতনে মরছে বন্দী !! সাহায্য করছে না দূর্তাবাস !!!

    আশ্রাফুল মামুন,কুয়ালালামপুর থেকে # | শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

    মালয়েশিয়া কারাগারে বাংলাদেশী বন্দীদের জীবন সাক্ষাত জাহান্নাম ! অনাহারে ও অমানুষিক নির্যাতনে মরছে বন্দী !! সাহায্য করছে না দূর্তাবাস !!!

    মালয়েশিয়ায় কারাগারে বন্দী বাংলাদেশিদের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। প্রায়ই বাংলাদেশিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। কারাগারে বিভিন্ন দেশের বন্দীরা থাকলেও বাংলাদেশিরা বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এমনকি নির্যাতনের কারণে কেউ কেউ মারা যান।

    বন্দীরা দীর্ঘদিন জেলে বা ক্যাম্পে থাকলেও অর্থ-সংকটের কারণে দেশেও ফিরতে পারছেন না, অনেকে চালাতে পারছেন না আইনি লড়াইও। এসব বন্দীকে মুক্ত করতে বাংলাদেশ দূতাবাস তৎপর নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

    প্রবাসীরা বলছেন, বিদেশি কারাগারে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের বন্দী থাকা দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। জীবিকার তাগিদে অবৈধ অভিবাসী হলে সে দায় শুধু ব্যক্তির নয়; রাষ্ট্রেরও। সরকার প্রধান বারবার বলে আসছেন প্রবাসীদের কারণেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল। প্রবাসীরা দেশের সোনার ছেলে। কিন্তু প্রবাসীদের কল্যাণে আশানুরুপ সেবা দিতে দূতাবাস ব্যর্থ।

    তাদের ব্যর্থতার কারণেই বছরের পর বছর বিদেশের কারাগারে প্রবাসীরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিদিনের চিরুনি অভিযানে এখন পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে ইমিগ্রেশন বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সিমুনিয়া, লেঙ্গিং, লাঙ্গ, জুরুত, তানাহ মেরায়, মাচাপ উম্বু, পেকা নানাস, আজিল, কেএলআইএ সেপাং ডিপো, ব্লান্তিক, বুকিত জলিল ও পুত্রজায়ায় সাম্প্রতিক অভিযানে আটককৃত বাংলাদেশির সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি।

    মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-সহকারী পরিচালক জোসামি মাস্তান বলেন, বিভিন্ন কারাগার ও ক্যাম্পে যারা আটক আছেন, তাদের বেশির ভাগই অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ কিংবা অবৈধভাবে থাকার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন, ১৯৫৯-এর ধারা ৬(১) সি/১৫ (১) সি এবং পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৬-এর ১২(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিতে গিয়ে অহরহ প্রাণহানি ঘটছে, কেউ ধরা পড়ছেন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে, প্রতারকদের হাতে জিম্মি হচ্ছেন অনেকেই। সহায় সম্বল বেঁচে টাকা দেয়ার পর মুক্তি মিলছে কারো।

    মালয়েশিয়ায় কোন দূর্ঘটনা বা স্বাভাবিক ভাবে মারা গেলে লাশ টুকু বাংলাদেশে পাঠাতে হলে বাংলাদেশের হাই কমিশনে গেলে স্বজনদের গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা ! টাকা না দিলে এরা কোন কাজই করে না, লাশ পঁচে গলে যাক এদের কোন যায় আসে না, দূর্তাবাস কর্মকর্তারা মৃত লাশের সাথে ও দূর্নীতি করে, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্য। মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশী হাই কমিশনের দূর্তাবাস এর কর্মকর্তারা কতটা জগন্য হতে পারে এটাই তার বাস্তব প্রমান।
    সমস্যা উত্তরনে প্রবাসীদের পক্ষ হতে পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এর কাছে লিখিত জানালেও তিনি আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেননি বরং তিনি রহস্যজনক ভাবে চুপ রয়েছেন।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম