| রবিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬
মিয়ানমারের জনগণ বিশেষ করে সেনাবাহিনী ও সরকার যেভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে তা চরমভাবে মানবতাবিরোধী। একে ইতিহাসের জঘন্যতম মুসলিম নির্যাতন বলা হচ্ছে।
এমতাবস্থায় মিয়ানমারের সরকার সংঘাতপূর্ণ এলাকায় গণমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়। প্রকৃতপক্ষে রাখাইনে কী হচ্ছে তা এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
জাতিসংঘের কর্মকর্তা জন ম্যাকেসিন ২৪ নভেম্বর বিবিসিকে জানান, মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনে নেমেছে।
সর্বশেষ হামলায় প্রায় ৩০ হাজার গ্রামবাসীর ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলেও মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আমরা দুঃখিত সু চি।
আমরা জানি আপনি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। তবে শান্তিতে নোবেল পেলেও আপনার দেশ মিয়ানমারে শান্তি কোথায়? আপনার দেশে মুসলিমরা শান্তিতে নেই কেন। শান্তিতে নোবেল পেয়েও অশান্তির আগুলে জ্বলছে মিয়ানমার।
আমরা আশা করব মিয়ানমার নেত্রী সু চি জাতিসংঘের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চল বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করবেন। যাতে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন। মিয়ানমারের কারণে বাংলাদেশে যেন অশান্তির সৃষ্টি না হয়। রোহিঙ্গারা যেন তাদের অধিকার ফিরে পায়। এটাই আমাদের দাবি।
আপনি শুধু মিয়ানমারের নেত্রী নন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় একজন অনুঘটক বলে বিবেচিত। আলাপ-আলোচনা করে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করবেন ।
লেখকঃ সাংবাদিক শামীম -উন -বাছির