• শিরোনাম

    সেই প্রাচীন মিসর

    | শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

    সেই প্রাচীন মিসর

    মানবজাতির অস্তিত্ব যখন হুমকির মুখে, পৃথিবীকে রক্ষা করতে এক রোমাঞ্চকর যাত্রায় রওনা হন বেক। তিনি এক নশ্বর যোদ্ধা। বাঁচাতে চান নিজের সত্যিকারের ভালোবাসাকে। আর এই লড়াইয়ে সাফল্য অর্জনের জন্য তাঁকে শক্তিশালী দেবতা হোরাসের সাহায্য নিতেই হয়। শত্রুতা করতে হলো অন্ধকারের নিষ্ঠুর দেবতা সেটের সঙ্গে, যিনি অন্যায়ভাবে দখল করে নিয়েছেন মিসরের সিংহাসন। আর একসময়ের শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধিশালী সাম্রাজ্যটিকে বানিয়ে তুলেছেন বিশৃঙ্খলা আর সংঘাতের জনপদ। শুরু হয় প্রচণ্ড লড়াই—একদিকে বেক আর হোরাস, অন্যদিকে সেট ও তাঁর অনুগত বাহিনী। শুভ আর অশুভের এই পৌরাণিক যুদ্ধ ছাড়িয়ে যায় জাগতিক সীমারেখা। মহাকাব্যিক লড়াই চলে পরজন্ম থেকে স্বর্গপুরী পর্যন্ত। চূড়ান্ত দ্বন্দ্বে নশ্বর মানুষ এবং অমর দেবতা—উভয়কেই পরীক্ষা দিতে হয় বীরত্ব ও আত্মত্যাগের।
    মিসরীয় পুরাণের ধ্রুপদি কাহিনিনির্ভর এই ফ্যান্টাসি গল্প হলিউডের নতুন চলচ্চিত্র গডস অব ইজিপ্ট-এর। ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি প্রযুক্তির ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে কাল ২৬ ফেব্রুয়ারি। অভিনয় করেছেন ব্রেনটন থোয়াইটস, জেরার বাটলার, নিকোলাজ কোস্টার ওয়াল্ডাউ, জিওফ্রে রাশ, ব্রুস স্পেন্স, এলোডি ইয়াং প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন অস্ট্রেলীয় নির্মাতা অ্যালেক্স প্রোয়াস।
    ১৪ কোটি মার্কিন ডলার বাজেটের এই চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। চিত্রনাট্য লিখেছেন ম্যাট স্যাজামা ও বার্ক শার্পলেস। খুব বেশি প্রচার না পেলেও বক্স অফিসে সাফল্যের আশা করছে ছবিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সামিট এন্টারটেইনমেন্ট ও থান্ডার রোড পিকচার্স।
    যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর সাময়িকী লিখেছে, গডস অব ইজিপ্ট ছবিতে মিসরের মোহনীয় রূপ তুলে ধরেছেন পরিচালক প্রোয়াস। হলিউডের ছবিতে এ রকম প্রয়াস আগেও দেখা গেছে। যেমন, ১৯৯৯ সালের ছবি দ্য মাম্মি এবং ওই সিরিজের পরবর্তী ছবিগুলো। ২০১০ সালের ছবি ক্ল্যাশ অব দ্য টাইটানস ছবিতে যেভাবে পৌরাণিক কাহিনির উপাদান নেওয়া হয়েছিল, গডস অব ইজিপ্ট-এর ধরনটাও অনেকটা সে রকম।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম