চিনাইরবার্তা প্রতিনিধিঃ | রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০১৭
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট লেখক, মুক্তিযোদ্ধা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, শিশুদের নিয়ে কাজ করা একটি কঠিন কাজ। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এই কঠিন কাজটি করছেন নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু। তিনি বলেন, শিশুরা হচ্ছে আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাই শিশু-কিশোরদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারা যেন অমানুষ না হয় সেজন্য অভিভাবকদের বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি ৮ এপ্রিল ২০১৭ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের আয়োজনে ২৬তম বার্ষিক চিত্রকলা প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
শিশু নাট্যমের সভাপতি সাংবাদিক মাশুকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এম.পি আরো বলেন, শিশুরা হচ্ছে চারা গাছ। এই গাছ যেভাবে লালন-পালন করবেন সেভাবে বেড়ে উঠবে। শিশু কিশোরদেরকে ধৈর্য্যের সাথে লালন-পালন করতে হবে।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদেরকে খুব ভালোবাসেন। শিশুদের আঁকা ছবি দিয়ে তিনি ঈদ কার্ডসহ বিভিন্ন শুভেচ্ছা কার্ড করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদকার্ডসহ বিভিন্ন শুভেচ্ছা কার্ডে সবসময় শিশুদের আঁকা ছবি থাকে।
তিনি শিশুদের অভিভাবক ও আয়োজকদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আগামীদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে উপরে তুলে ধরতে, এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাই মিলে শিশুদেরকে লালন-পালন করতে হবে। আমাদের শিশুদের, আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছিল বিরাট অবদান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, ডাকসুর সাবেক জিএস আবদুল কুদ্দুস মাখন ছিলেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠন। মহান মুক্তিযুদ্ধে আবদুল কুদ্দুস মাখনের রয়েছে অসামান্য অবদান। তিনি শিশুদের মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সন্তানদের প্রতি যতœশীল হউন। আপনাদের শিশুরাই একদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ উজ্জ্বল করবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ ইনামুল হক হেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত অতিথি একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন (অবঃ) আজিজুল ইসলাম, বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক মোঃ শাহনেওয়াজ ও বিশিষ্ট নাট্যজন, সমতট বার্তার সম্পাদক ও চ্যানেল আই’র জেলা প্রতিনিধি মনজুরুল আলম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহআলম সরকার, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ বিটু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক দীপ্ত মোদক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী শারমীন সুলতানা। আলোচনার সভার আগে তিনগুনি একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন (অবঃ) আজিজুল ইসলাম, বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক মোঃ শাহনেওয়াজ ও বিশিষ্ট নাট্যজন, সমতট বার্তার সম্পাদক ও চ্যানেল আই’র জেলা প্রতিনিধি মনজুরুল আলমকে সম্মাননা ক্রেস তুলে দেন প্রধান অতিথি। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।