• শিরোনাম

    র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি কে নিয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্’র স্ট্যাটাসে ফেসবুকে তোলপাড়।

    | শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

    র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি কে নিয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্’র স্ট্যাটাসে ফেসবুকে তোলপাড়।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাসুম বিল্লাহ্’র ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত :-

    ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে,
    কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে’

    কবি ভাবনার সেই ‘কাজে বড়’ ছেলে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি মহোদয়কে নিয়ে সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর উদ্দ্যেেশে আমার কিছু কথা….

    প্রিয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ারবাসীর উদ্দ্যেশে উনার মনের একটি অভিব্যক্তি দিয়ে শুরু করছি –

    আমরা লড়ে যাব, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তিতে আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য দৃঢ় চিত্তে।”
    “একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আধুনিক অসাম্প্রদায়িক, নিরক্ষরতা ও সন্ত্রাস মুক্ত, সমৃদ্ধশালী ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়তে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।”

    –র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি–

    তিনি শুধু একজন বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসেবেই নয়, পাশাপাশি একজন বিশিষ্ট লেখক, প্রবন্ধকার, শিক্ষানুরাগী ও সুবক্তা হিসেবে দেশব্যাপী রয়েছে উনার ব্যাপক সুনাম।

    শিক্ষা, সাংস্কৃতি অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজধানী হিসেবে সুপরিচিত এই ব্রাহ্মনবাড়িয়াতে নব্বয়ের দশকের পর থেকে রাজনীতির নামে অপরাজনীতির আগ্রাসনে ধীরে ধীরে শিক্ষা, সাংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধে ধস নামে পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস হয়ে এই জনপদে শুরু হয় হত্যা, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, দিনদুপুরে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা। এবং মৌলবাদের আতুরঘরে পরিনত হয়েছিল আমাদের এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

    চারিদিকে যখন অন্ধকার, ঠিক তখনই প্রগতিশীলতার মশাল হাতে ২০০৫ সাল থেকে এক স্বপ্নবাজ পুরুষ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, যিনি ছাত্রজীবন থেকেই দাপটের সাথে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার পরও একমাত্র মাটির টানে নিজ জেলার স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রীয় হয়ে উনার স্বীয় যোগ্যতা, সাংগঠনিক কর্মদক্ষতায় এবং এলাকার মানুষের গভীর ভালবাসায় এড: লুৎফুল হাই সাচ্চু এমপি প্রয়ান উত্তর উপ-নির্বাচনে একটি ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলেন মহান জাতীয় সংসদের একজন সাংসদ হিসেবে। এর পর থেকেই এই জনপদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অসীম সাহসিকতার সাথে সমস্ত অন্যায় অবিচার,মৌলবাদ আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শুরু হয় তার যুদ্ধ। এই লড়াইয়ে বার বার তিনি বিভিন্ন বাধার মোকাবেলা করেছেন সাহসিকতার সাথে।

    দেশরত্ন শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় এবং উনার সুদক্ষ নেতৃত্ব, দূরদর্শী চিন্তা চেতনা, মেধা, প্রজ্ঞায় ধীরে ধীরে এই জেলা অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, যাতায়াত ও যানজট নিরসন, ভূমিদস্যুতা, টেন্ডাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দৃঢ়চিত্ত যুদ্ধ ঘোষনা, এসব কারনে তিনি মানুষের ভালবাসার সর্বোচ্ছ সুচকে অধীষ্ঠিত হতে থাকেন। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রামের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ফ্লাইওভার নির্মানে উনার অবদান নিঃসন্দেহে অবিস্বরণীয় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আর তা কেবলই সম্ভব হয়েছে কেননা তিনি যে শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন, স্নেহধন্য একজন রাজনৈতিক।

    রাজনৈতিক ও উন্নয়নশীল এসব কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতার ফলফলস্বরুপ তিনি দ্বিতীয়বার ২০১৪ সালে জনগনের বিপুল রায়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে দলের সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উনার সাংগঠনিক দক্ষতা, ত্যাগ, শ্রম, ভালবাসা এমনকি রাগ, অভিমান ভূলে কখনো কখনো সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে বহুভাগে বিভক্ত জেলা আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্য করেন। শুধু জেলা আওয়ামীলীগই নয়, উনার একক ভূমিকায় বর্তমানে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলু তাদের নিজেদের মধ্যে বিবেদ/গ্রুপিং থেকে মুক্ত হয়ে অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্য ও সুসংহতভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। যা ব্রাহ্মনবাড়িয়ার অতীত আওয়ামী রাজনীতির ইতিহাসে প্রায় বিরল।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ নির্বাচনী এলাকা যা বিগত প্রায় পঁচিশ বছর ছিল বিএনপি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের দখলে। উনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সেই সদর ৩ আসন বর্তমানে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসবে বাংলাদেশে এক দৃষ্টান্ত।

    এই মহান নেতাকে নিয়ে জনৈক কবি তার কবিতায় যথার্থই লিখেছিলেন-

    “স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা ঘিরে
    রবিউল আছে সবার তরে
    গ্রামীণ উন্নয়নের রূপকার
    রবিউল মোদের অহংকার।”

    ষড়যন্ত্রকারীরা সাবধান

    যেই অপশক্তির বিরুদ্ধে এই নেতা এতদিন যাবত যুদ্ধ চালিয়ে আসছেন আজ সেই অপশক্তিরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লেবাসদারী কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনীতিবীদদের সাথে আতাত করে সাম্প্রতিক সময়ে উনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে সোচ্চার হয়েছে। কারণ তারা জানে এই জনপদে মোকতাদির চৌধুরী এমপির আমলে তাদের ভোগের রাজনীতি অচল।

    আমি স্বার্থান্বেষী এসব মুখোশধারী রাজনীতিবীদদের উদ্দ্যেশে সতর্ক ও হুশিয়ারি প্রদান করে বলছি –
    আপনারা হয়ত জানেন না, উনার পিতৃসুলভ আদর, স্নেহ,শাসন, ভালবাসা ও দিকনির্দেশনায় ছাত্রলীগের একঝাক তরুণ নেতৃত্ব স্বাধীনতার চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে উঠেছে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে। আপনাদের ষড়যন্ত্রের দাতঁভাঙ্গা জবাব ও উচিত শিক্ষা দিতে আমরাই কিন্তু যথেষ্ট। উনি আমাদেরকে কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি শিক্ষা দেননি বলেই এখনো পর্যন্ত চুপ থেকে সহ্য করছি।

    ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গে উনি একদা আমাদেরকে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের “অধম ও উত্তম” কবিতার কবির ভাষায় বলেছিলেন –
    “কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
    কামড় দিয়েছে পায়,
    তা ব’লে কুকুরে কামড়ানো কি রে
    মানুষের শোভা পায় ?”

    সারাজীবন যেই দলের নাম বিক্রি করে আদর্শের রাজনীতির নামে স্বার্থ ও ভোগের রাজনীতি করে দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে মান সম্মান, পরিচিতি, ধন, দৌলত, অট্রালিকা সহ অনেক কিছু গড়েছেন। এখনো সময় ও সুযোগ আছে, এবার অন্তত সেই দলকে ভালবেসে জননেত্রি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার স্বার্থে আদর্শিক রাজনীতাটা করুন। এবং অযথা এই মহান মানুষটির বিরুদ্ধে আপনাদের লাগামহীন মিথ্যাচারীতা, ষড়যন্ত্র ও অপবাদ দেয়া বন্ধ করুন।

    আবারো বলছি, দয়া করে, আমাদের ধৈর্য্য ও সহ্যের সীমা লঙ্গন করতে বাধ্য করবেন না….নতুবা জবাবে আপনাদেরকে এর উপযুক্ত প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার কৌশল ও ব্যাবস্থাও কিন্তু আমাদের জানা আছে।

    পরিশেষে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আহ্বান জানাচ্ছি – আসুন দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত অপশক্তির বিরুদ্ধে রবিউল মোকতাদির চৌধুরীর আলোর মিছিলে আমরা সহযোদ্ধা হয়ে ষড়যন্ত্রকারিদের প্রতিহত করতে আমরা সোচ্চার হই। জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।

    লেখক :
    মাসুম বিল্লাহ্
    সভাপতি
    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম