• শিরোনাম

    ছিনতাইকারীদের পছন্দের সময় সকাল-বিকাল !

    | রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬

    ছিনতাইকারীদের পছন্দের সময় সকাল-বিকাল !

    আগারগাঁও, ধানমণ্ডি, শেরেবাংলানগর, মোহাম্মদপুর, পুরান ঢাকা এবং কারওয়ানবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইকারী চক্রের বেশ কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে।

    এসব চক্রের সদস্যরা সব সময় ছিনতাই করে না। তারা ছিনতাইয়ের জন্যে সকাল ও বিকালকে বেছে নেয়। কারণ, এ সময় অফিস ও বাসাগামী মানুষদের ব্যস্ততা বেশি থাকে। তাছাড়া মাসের প্রথম দিকটাকেও তারা ছিনতাইয়ের জন্যে বেছে নেয়। কারণ, ওই সময় বেশিরভাগ চাকরিজীবী বেতন পান।

    র‌্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান রোববার বিকালে তার কারওয়ানবাজারস্থ কার্যালয়ে যুগান্তর অনলাইনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

    এর আগে তিনি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

    সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ জানান, দুইটি ছিনতাইকারী চক্রের ১৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

    শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগ-কামরাঙ্গীচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, ছিনতাইকৃত বিপুল পরিমাণ মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ ও ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার করা হয়।

    র‌্যাব পরিচালক জানান, শনিবার যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বেশ কয়েকজন এর আগে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। ছাড়া পাওয়ার পর তারা আবারও একই পেশায় জড়িয়েছেন। গ্রেফতারকৃত ছিনতকারী চক্রের সদস্যরা মলমপার্টি এবং ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার জালিয়াতির সঙ্গেও জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তাদের হাতে অনেকের প্রাণও চলে গেছে। ধরা পড়ার আশংকা তৈরি হলেই তারা গুলি চালায়।

    মুফতি মাহমুদ খান জানান, ছিনতাইকারী চক্রের ডেসব গ্রুপ এখনও ধরা পড়েনি তাদেরকে র‌্যাবের নজরদারিতে আনা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি বিশেষ গোয়েন্দা টিম ছায়া তদন্তে নামে। তদন্তে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বের হয়ে আসে। দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের মাধ্যমে টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট এবং ল্যাপটপসহ অন্যান্য মালামাল ছিনতাই করে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করা হয়। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা লাখ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে। তারা একটি সংঘবদ্ধ দলে কাজ করে। বিভিন্ন বাস, ট্রাক কাউন্টার ওসড়কে এ গ্রুপের এজেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

    শনিবার বিকাল ৩টার দিকে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে মোবাইল, ট্যাব ও নগদ ৩ হাজার টাকা হারিয়ে সুজন নামে এক ব্যক্তি র‌্যাব-২ এর সাতমসজিদ ক্যাম্পে অভিযোগ নিয়ে আসেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়।

    গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা উদ্যানের লোহার গেট এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজ থেকে আলিম (৩৫), আনসার আলী (৪০), সাগর মিয়া ওরফে শওকত (৩৫), মো. হাসান (২৮) ও মো. ছগিরকে (২৯) ২টি বিদেশী পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি ও অজ্ঞান করার ৬ টি মলমসহ গ্রেফতার করা হয়।

    তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীচর এলাকার একটি বাসায় অভিযান আলমগীর (৩৫), মো. রমজান (২৮), সাইদুর রহমান (৩৫), মো. উজ্জল (২৫), শেখ মো. জাহিদ (২২), আ. খালেক (৪২), জহুরুল মিয়া (২১) এবং মো. উসমানকে (২৫), গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র, ছিনতাইকৃত ৩৭৭টি মোবাইল, ২টি ট্যাব, ১টি ল্যাপটপ এবং ছিনতাইকৃত নগদ ৩২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম