• শিরোনাম

    কাবা ঘরকে ব্যঙ্গ করায়, উত্তাল নাসিরনগর

    | সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৬

    কাবা ঘরকে ব্যঙ্গ করায়, উত্তাল নাসিরনগর

    মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-

    পবিত্র কাবা ঘরের ভিতর শিব মুর্তি স্থাপন করে ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ষ্ট্যাটাস দেওয়ার অপরাধে জনতা এক যুবককে ধৃত করে পুলিশে সোপর্দ করে।ধৃত হওয়া ওই যুবকের নাম রসরাজ দাস (৩০),পিতা- জগন্নাথ দাস তার গ্রামের বাড়ি হরিপুর ইউনিয়নে হরিণবেড় গ্রামে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ অক্টোবর শনিবার বেলা ২ ঘটিকার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হবিণবেড় গ্রামে। এলাকাবাসী,প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,রসরাজ দাস পেশা একজন জেলে।

    অনুমান ঘটনার সময় থেকে

    014144

    নাসিরনগরে পবিত্র কাবা ঘরে শিব মুর্তি স্থাপন করে ব্যঙ্গ করে ফেইসবুকে ষ্ট্যাটাস ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কুলাঙ্গারের ফাঁসির দাবীতে লাকো জনতার মিছিল সমাবেশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপার নাসরি নগরে

    প্রায় ২২ ঘন্টা আগে পবিত্র কাবা ঘরের ভিতর শিব মুর্তির ছবি সংযুক্ত করে তার নিজস্ব সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ষ্ট্যাটাস দেয়। তার এই ব্যঙ্গ চিত্রর ষ্ট্যাটাসটি চর্তুপাশে ছড়িয়ে পড়ে। তার ষ্ট্যাটাসে ১৮ টি লাইক ও কয়েকটি কমেন্টস পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বেলা ২ঘটিকায় সময় রসরাজকে হাতে নাতে ধরে গণ ধুলাই দিয়ে থানা পুলিশে সোফর্দ করে। পরে এলাকার আলেম উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ওই ঘটনার সু-বিচার ও রসরাজের ফাসিঁর দাবিতে উপজেলা সদরে ওই দিন সন্ধ্যায় এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

    রবিবার সকাল ১১ঘটিকায় নাসিরনগরের সকল স্থরের ধর্মপ্রাণ মুসলমান,আলেম উলামা ও তৌহিদী লাখো জনতার সমন্বেয় উপজেলা সদরের বিভিন্ন রাস্তা ঘাটে কুলাঙ্গার রসরাজের ফাঁসির দাবীতে চলে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ। মিছিলকারীরা নাসিরনগর খেলার মাঠ ও কলেজ মোড়ে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশকারীরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীসহ আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থার নিকট ওই কুলাঙ্গার রসরাজের ফাঁিসসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানায়।

    এ দিকেমিছিলকারীদের মাঝ থেকে কিছু সংখ্যক বখাটে যুবক নমসূদ্রপাড়া, কাশীপাড়া, মালিপাড়া,ঘোষপাড়া, হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ী ঘর ভাংছুর করে। কয়েকটি মন্দিরে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীদের হাতে নাসিরনগর গৌর মন্দিরের পূজারী শংকর সন দাস(ব্রহ্মচারী),গোবিন্দ ঘোষ, তার স্ত্রী মানিকের ছেলে সৈকত সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের মাঝে গৌর মন্দিরের পূজারী শংকর সন দাস(ব্রহ্মচারী)কে নাসিরনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    পরে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় মিছিল সমাবেশ চলাকালীন সময়ে কিছু সংখ্যক বখাটে যুবক দক্ষিণ দিকথেকে ট্রাকযোগে এসে এ সমস্ত বাড়ী ঘরে হামলা চালায়, এ সময় তারা শৈলেন চৌধুরী ঘরে থাকা নগদ বিশ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল দিলীপ চৌধুরীর আশি হাজার টাকা, প্রতিবন্ধী মৌসুমীর কানের স্বর্ণ,নেপালের ছাব্বিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তারা বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। হরলাল দাসের খড়ের স্তুপে ও মানিক দাসের জালের স্তুপ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এসময় তারা নাসিরনগর গৌরমন্দির, কালীমন্দির, অঞ্জু সরকারের বাড়ীর মন্দির সহ কয়েকটি মন্দিরের হামলা করে।

    এ সময় তারা নাসিরনগর বাজারে অবস্থিত জহরলাল ট্রেডার্সেও হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার, বিজিবির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মাশরুর, র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার এ.এস.পিআবু সাঈদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেল সিনিয়র পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল করিম,নাসিরনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আব্দুল কাদের, উপজেলা চেয়ারম্যান এ,টি,এম মনিরুজ্জামান সরকার, সদর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমানবাধিকার সংস্থা অভিযানের নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান,প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকও নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিম ঘঠনাস্থল পরির্দশন করেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানেপরিস্থিতি শান্ত।

    নাসিরনগর থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে কুলাঙ্গার রসরাজকে মামলা দিয়ে ভোরেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম