• শিরোনাম

    ‘দ্বৈত শাসনে’ বিচার বিভাগে ধীর গতি: প্রধান বিচারপতি

    | সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৬

    ‘দ্বৈত শাসনে’ বিচার বিভাগে ধীর গতি: প্রধান বিচারপতি

    বিচারকদের কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান, ছুটি মঞ্জুরি ও শৃংখলাবিধানের ক্ষেত্রে ধীর গতির কারণ হিসেবে ‘দ্বৈত শাসন’র বিধান সম্বলিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদকে দায়ী করেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।এক্ষেত্রে ৭২’র সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনঃপ্রবর্তন সময়ের দাবি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
    নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচারবিভাগ পৃথকীকরণের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার প্রদত্ত এক বাণীতে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

    প্রধান বিচারপতি তার বাণীতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর হাইকোর্ট বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রয়েছে। অন্যদিকে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ। এই অনুচ্ছেদের ফলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি ও শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে এককভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

    তিনি বলেন, দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় শূন্য পদে সময়মতো বিচারক নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিচারকার্য বিঘ্ন ঘটে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যায়। এ প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদটি পুনঃপ্রবর্তন হওয়া সময়ের দাবি।

    ‘এই অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতি দান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃংখলাবিধান সুপ্রিমকোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকবে। ওই বিধানটি পুনঃপ্রবর্তন করলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আরও সমুন্নত ও সুসংহত হবে এবং বিচার বিভাগের সার্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে’ বলেন এস কে সিনহা।

    উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে ১৯৭৮ সালে এক ফরমানের মাধ্যমে ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির হাতে নেয়া হয়। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী পরে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে বাতিল হয়ে যায়।

    এরপর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২ এর সংবিধানের চার মূলনীতিও ফিরিয়ে আনে। কিন্তু বাহাত্তরের সংবিধানে প্রদত্ত ১১৬ অনুচ্ছেদের বিধান আর ফেরেনি।
    প্রধান বিচারপতি তার বাণীতে আরও বলেছেন, বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের একটি ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে ২০০৭ সারের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়ে এর যাত্রা শুরু করে। অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে পৃথকীকৃত বিচার বিভাগ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে।

    সূএ-যুগান্তর

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম