সারা দেশের পেট্রল পাম্প ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আহুত ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পেট্রল পাম্প মালিক সমিতি ও সিএনজি স্টেশন মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যে সব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তারা ধর্মঘট আহ্বান করেছিলেন, সরকার সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তাদের উদ্দেশ্য ধর্মঘট করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করা নয়। তারা চান দাবির বাস্তবায়ন।

শনিবার বিকেলে যোগাযোগ ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভার পর পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনের দুটি মালিক সমিতির নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

সরকারি সূত্র জানায়, পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনের মালিকদের দাবিগুলোর বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ তৈরি জন্য দুটি কমিটি করা হয়েছে।

একটি কমিটি করা হয়েছে যোগাযোগ ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে। অপরটি করা হয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আহসানুল জব্বারের নেতৃত্বে। কমিটি দুটি আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। তার ভিত্তিতে দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে সরকার।

পেট্রল পাম্প মালিক সমিতি যে সব দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছিল তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মালিকানাধীন রাস্তার পাশের কিছু জায়গা ব্যবহারের জন্য অস্বাভাবিক মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ও জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানো। সব মিলিয়ে তারা ১২ দফা দাবি তুলেছে।

সিএনজি স্টেশন মালিকদের দাবির মধ্যে রয়েছে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা, সিএনজি বিক্রির মাশুল বাড়ানো এবং অনেক দিন ধরে অবাস্তবায়িত কিছু বিষয়ের দ্রুত বাস্তবায়ন।

এর আগে জ্বালা ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, সরকারকে কেউ জিম্মি করে কোনো দাবি আদায় করতে পারবে না। বিকেলে বৈঠকের পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানোর কথাও বলেছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

কিন্তু বৈঠক শেষ হতে না হতেই পেট্রল ও সিএনজি স্টেশন মালিকরা তাদের ঘোষণা থেকে সরে আসল।

Comments

comments