সিবিবার্তা রিপোর্টঃ | মঙ্গলবার, ০৮ আগস্ট ২০১৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঁদাবাজি, মারধর, শ্লীলতাহানী, জবরদখল,মানহানী ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের এক মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর সাব-রেজিষ্টার অফিসস্থ সদর দলিল লিখক সমিতির ৪ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন দুলাল বাদী হয়ে গত ১ আগস্ট চাঁদাদাবি,লুটপাট,মারধর, শ্লীলতাহানী, জবরদখল,মানহানী ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর দলিল লিখক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলামসহ সিমিতির ৭ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করিলে পুলিশ মামলাটি তদন্ত না করে অন্তর্ভূক্ত না করলে, পরবর্তিতে বাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে গত ৩ই আগস্ট রোজ বৃহস্পতিবার সকালে সদর দলিল লিখক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম, সমিতির নেতা মুর্শেদ ও মারুফ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে, আদালত আসামীদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়,আসামীরা পাচঁ লক্ষ্ টাকা চাঁদার দাবীতে বাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন দুলালের লীজকৃত ভবনে তাদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিকরা সহ জেলা কৃষক লীগের অফিসে ভাঙচুর,হামলা ও লুটপাট চালান।এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ছাদেকুর রহমান শরীফ জানান, আসামীরা আদালতে জামিনের জন্য হাজির হইলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। তিনি জানান, আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচারের দাবী করি। জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন দুলাল জানান, কৃষক লীগের অফিসে হামলায় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামীদের জেল হাজতে পাঠালে জেলা কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব-রেজিষ্টার মোতাহার হোসেন চৌধুরী জানান, এটি সরকারী জায়গা আইনীভাবে কে পাবে এটা সরকারই নিধারণ করবে। কিন্তু এটি নিয়ে দুটি গ্রুপ যে, পাল্টাপাল্টি অবস্থানে গিয়ে হানাহানি করছেন, এটি সর্ম্পূণ রাজনীতিক প্রভাব বিস্তার।