মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও দু’জন উপপরিদর্শকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে এক আইনজীবীর করা চাঁদাবাজির অভিযোগ খারিজ করেছেন আদালত।

রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে বাড়ি দখল ও চাঁদাবাজির এই অভিযোগ করেন।

আসামিরা হলেন- মোহাম্মদপুর থানার ওসি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মীর, উপ-পরিদর্শক মো. রাজীব, সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. খোরশেদ, নূর আলী রিয়েল এস্টেটের কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন ও মো. সোহেল।

পরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. খুরশীদ আলম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে ওই অভিযোগ খারিজ করে দেন।

আদালত আদেশে বলেন, মামলায় প্রাথমিকভাবে আলামতযোগ্য অভিযোগ বিদ্যমান না থাকায় মামলাটি খারিজযোগ্য। অতএব মামলাটি ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৩ ধারা মোতাবেক খারিজ করা হলো।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর বাদী ভাড়া বাসা থেকে ৩৩৯/এ জাফরাবাদ, শংকরে নিজ বাড়িতে মালামাল স্থানান্তর করছিলেন। এ সময় আসামিরা বাসায় প্রবেশে বাধা দেয়। পরবর্তীতে আসামিরা বাদীকে বাসার নিচতলার গ্যারেজে ডেকে ৪৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রাজীব এবং খোরশেদ বাদীকে কলার ধরে মারধর করে এবং থানায় নিয়ে যেতে চায়। এ সময় তারা হুমকি দিয়ে বলে, তোর বিরুদ্ধে মামলা আছে, মামলায় রিমান্ডে নিয়ে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে। বাদী নিজেকে আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেয়ার পরও ওসি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন তাকে লাঞ্ছিত করে। পরে বাদী মামলার সাক্ষী মইনুদ্দিনের সহায়তায় ২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে ওসিকে দেন। এ সময় আসামি রাজীব ও খোরশেদ সাদা কাগজে বাদীর সই নিয়ে তাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।

অভিযোগে ৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল।

Comments

comments