| বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন তার বড় বোন ইসরাত জাহান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে রবিবার দুপুরে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এক দাবি করেন তিনি।
ইসরাত বলেন ‘আমার বোন মারা গেছে, তাকে আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না। আমার বোনের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষকদের আবাসিক ভবনে নিজ কক্ষের দরজা ভেঙে আকতার জাহানের লাশ পাওয়া যায়। পরে ওই ঘরের টেবিলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যেখানে ‘আত্মহত্যার’ কথা জানিয়ে ‘কেউ দায়ী নয়’ বলা হলেও নিজের সন্তানের গলায় ‘ছুরি ধরার’ অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৯৭ সালে শিক্ষক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন আকতার জাহান। চাকরিতে যোগ দেয়ার আগেই বিয়ে করেন তানভীর আহমেদকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ্ আজম বলেন, ‘আমরা কেন আকতার জাহানের অভিমান বুঝতে পারিনি, এটা আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতা। এ মৃত্যুতে যদি কোনও প্ররোচনাকারী থাকে তার বিচার চাই। তিনি শুধু আকতার জাহানকে হত্যা করেননি, তার স্বপ্নকে হত্যা করেছেন।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া, মহিলা পরিষদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাধুরী রায় চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় আকতার জাহান জলিকে নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে সাড়ে ১১টায় বিভাগের সামনে থেকে একটি শোকর্যালি বের করা হয়।