| মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০১৬
সময়কে ঘিরে জীবনের প্রত্যাশা নতুন নয়। প্রত্যাশা থাকে ঈদে, জন্মদিনে, বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানাদিতে। মানুষের বৈষয়িক প্রত্যাশা থাকে মা-বাবার কাছে, বড় ভাইয়ের কাছে অথবা অন্য কারো কাছে। প্রাপ্তির আশা পূরণ হলে মানুষ আনন্দিত হয় আর অপূরণ থেকে গেলে ব্যথিত হয়। আর বঞ্চনার জ্বালা সে বয়ে বেড়ায় বহু দিন। তারপর ভুলে যায় সব না-পাওয়ার স্মৃতি। তবে সময়কে ঘিরে পরকালীন প্রত্যাশাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়ার আশা। যে আশা পূর্ণ হওয়ার আনন্দ মানুষ চিত্কার করে অন্যকে জানাবে আর অপূর্ণতার জ্বালা সে ভোগ করবে অনন্তকাল ধরে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর যার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে, সে বলবে—নাও, তোমরা আমার আমলনামা পড়ে দেখো। আমি জানতাম, আমাকে হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে। অতঃপর সে কাঙ্ক্ষিত সুখী জীবন যাপন করবে সুউচ্চ জান্নাতে। তার ফলগুলো থাকবে অবনমিত। (তাদের বলা হবে) তোমরা বিগত দিনে যা প্রেরণ করেছিলে, তার প্রতিদানে তৃপ্তিসহকারে খাও এবং পান করো। আর যার আমলনামা বাঁ হাতে দেওয়া হবে, সে বলবে—‘হায়! আমাকে যদি আমলনামা দেওয়া না হতো। আমি যদি জানতেই না পারতাম আমার হিসাব! মুত্যুই যদি হতো আমার শেষ পরিণতি! (আফসোস!) আমার ধনসম্পদ আমার কোনো কাজে এলো না! আমার ক্ষমতা শেষ হয়ে গেল।’ (সুরা : আল-হাক্কাহ, আয়াত : ১৯-২৯)