| শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
শুক্রবার রাতে ফিফা বেছে নিয়েছে নতুন সভাপতি। সেপ ব্ল্যাটারের ১৮ বছরের রাজত্বেও আনুষ্ঠানিক অবসান হলো এতে। বর্ষীয়ান এই সুইসের জায়গায় এসেছেন আরেক সুইস জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তারপর থেকেই অভিনন্দন বৃষ্টিতে ভিজছেন নতুন সভাপতি। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল-খলিফাও সব ভুলে বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহায়তার হাত। তবে ইনফান্তিনোকে ফুটবলের সর্বময় কর্তা হিসেবে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না ডিয়েগো ম্যারাডোনা ।
ফুটবলের দুর্নীতি নিয়ে অনেক আগে থেকেই সোচ্চার আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। বিদায়ী সভাপতি ব্ল্যাটার ও প্লাতিনির বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন অনেকবারই। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে আপাতত নির্বাসিত এ দুজন। এই ফাঁকে ফিফা সভাপতির নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া ইনফান্তিনো প্রথমেই অঙ্গীকার করেছেন ফুটবলকে কলঙ্কমুক্ত করার।
কিন্তু ম্যারাডোনা এটা শুনে ভ্রু-কুচকাচ্ছেন। ইনফান্তিনোর বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর এই মহাতারকার প্রতিক্রিয়াটা হলো বেশ ঝাঁজালো, ‘সে একজন প্রতারক। তার বস প্লাতিনি এমন বিপদে পড়ল, একটুর জন্য জেলে যাওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেল; তার আচরণে সেটা বোঝাই যায়নি। সে নিজের আখের ঠিকই গুছিয়ে নিল। লটারির ঘোষক থেকে একেবারে ফিফা সভাপতির নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে একজন, বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য।’
ম্যারাডোনা তাহলে কাকে দেখতে চান ফিফা সভাপতি হিসেবে? উত্তর দিয়েছেন নিজেই, ‘আমি সভাপতি হিসেবে এমন একজনকে চাই, যে ফুটবলকে ব্যবহার করে কোটিপতি হতে চায় না। আমি এমন কাউকেই সমর্থন দেব।’
ইনফান্তিনোকে নিয়ে বলতে বলতে চলে এল ব্ল্যাটার-প্লাতিনি প্রসঙ্গ। এই দুজনের শাস্তি কমিয়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৬ বছর করায় ক্ষিপ্ত ম্যারাডোনা, ‘ফিফার নৈতিকতা কমিটি ভুল করেছে। এত বছর ধরে ওরা যেভাবে ডাকাতি করেছে তাতে ওদের যাবজ্জীবন হওয়া উচিত।’ রয়টার্স