| শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
১৫ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তান অলআউট। স্কোর বোর্ডে রান মাত্র ৮৩। কোহলি-রোহিতদের জন্য এ আর এমন কী! এত উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচ, সেটার ফল কিনা ম্যাচের একটা ইনিংস শেষেই এমন নিশ্চিত হয়ে গেল?
ভুল। এটি যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ! এক দলের ইনিংস শেষে এই ম্যাচ নিয়ে কোনো ভবিষদ্বাণী করা যে চরম নির্বুদ্ধিতা সেটাই আরেকবার প্রমাণ হলো কাল মিরপুরে। তাড়া করতে নেমে ৮ রানেই ভারতের ৩ উইকেট নেই। রোহিত শর্মা ও অজিঙ্কা রাহানে রানের খাতাই খুলতে পারলেন না। সুরেশ রায়না ফিরে গেলেন মাত্র ১ রান করে। ঢাকায় এসে বিরাট কোহলি যে মোহাম্মদ আমিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন, সেই আমিরই কাঁপিয়ে দিয়েছেন ভারতকে। ৩টি উইকেটই তাঁর। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেট তখন তাঁর সব রোমাঞ্চের পসরা সাজিয়ে বসেছে।
সেই রোমাঞ্চের শেষটা অবশ্য হয়েছে ভারতের জয়েই। শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ৫১ বলে ৪৯ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে ভারতকে ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন কোহলি। তাঁর সঙ্গে ৬৮ রানের জুটিতে যুবরাজ (৩২ বলে ১৪) ছিলেন প্রায় দর্শক হয়েই। ভারতের সেই জয়ের আগের শেষটাও বেশ নাটকীয়। ১৫তম ওভারে আমিরের বলে এলবিডব্লু হয়ে কোহলি যখন ফিরে যাচ্ছেন আম্পায়ারের দিকে প্রশ্নবোধক হাসি ছুড়ে, জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে ভারত। এরপর হার্দিক পান্ডিয়াকে কোনো রান করার আগেই ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ সামি। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি অবশ্য আর ঝামেলা বাড়তে দেননি। ২৭ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেন ভারত অধিনায়ক।
এ তো গেল শেষের নাটক। রোমাঞ্চের কমতি ছিল না ম্যাচের শুরুতেও। দিনের চতুর্থ বলেই হাফিজের উইকেট দিয়ে শুরু পাকিস্তানের ধস। এরপর শারজিল খান, খুররম মনজুর, শোয়েব মালিক আর উমর আকমলও যখন ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন, পাকিস্তানের শেষ ভরসা বলতে অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হয়ে তিনিও যখন ফিরলেন, পাকিস্তানের রান ৬ উইকেটে ৪২, অষ্টম ওভারের খেলা চলছে কেবল। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন স্কোরের (৭৪, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১২ সালে, দুবাইতে) রেকর্ডটা তখন চোখ রাঙাচ্ছে। ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামা সরফরাজ আহমেদের ২৪ বলে ২৫ রানের ইনিংসে সেই লজ্জা কাটালেও খুব বেশি দূর যেতে পারেনি পাকিস্তান। সরফরাজ ছাড়া দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন শুধু খুররম মনজুর (১০)।
পাকিস্তান: ১৭.৩ ওভারে ৮৩
ভারত: ১৫.৩ ওভারে ৮৫/৫
ফল: ৫ উইকেটে জয়ী ভারত