তবে নির্বাচনকে ঘিরে চিন্তায় পড়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ভোট উৎসবের ডামাডোলে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কাও ক্রমশ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে আল-কায়েদা হামলা চালাতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যের পর নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে নিউইয়র্ক, টেক্সাস ও ভার্জিনিয়া’তে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা বেশি থাকায় তৎপরতাও সেখানে বেশি।
কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য সব ধরনের হামলা প্রতিহত করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। সতর্কতাও এজন্য বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, যে রাজ্যগুলোয় সমর্থনের বিষয়টি পরিস্কার নয়, সেই রাজ্যগুলোতে দু’প্রার্থীকে একইদিন নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে। যেমন গত শুক্রবার হিলারি ও ট্রাম্প ওহাইও এবং পেন্সিলভেনিয়ায় আলাদাভাবে নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন। আবার ফ্লোরিডা’তেও একইদিন নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন তারা।
আবার দুই প্রার্থীই ব্যক্তিগত আক্রমণ বাদ রেখে দেশ ও দশের সমস্যা নিয়ে কথা বলছেন। আশ্বাস দিচ্ছেন সেসব সমস্যা সমাধানের। সুযোগ বুঝে অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতেও ছাড়ছেন না।
নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই সাম্প্রদায়িক ও নারী বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্যে সমালোচিত হয়েছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শেষ মুহুর্তে ডেমোক্রেট দলীয় হিলারি’র ফাঁস হওয়া ই-মেইল নিয়ে এফবিআই তদন্তের ঘোষণা দিলে হালে পানি পান ট্রাম্প।
অবশ্য ডেমোক্রেট দলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ উঠলে হিলারি ক্লিনটনের বদলে আলোচনায় আসেন এফবিআই প্রধান জেমস কোমি। ক্ষমতাসীন দলটি তার বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলে।
সূএ-পরিবর্তন