বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের নেতাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি বলেন, “কাউন্সিলের জায়গাও দিচ্ছে না। পত্রিকায় দেখি তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) বলে যে, বিএনপির কাউন্সিলে বাধা দেওয়া হবে না। বাধা দেওয়া হবে না-সেটা মুখে বলছে। আমি তো বলি, বিএনপির কাউন্সিলে বাধাও দেওয়া হবে না, জায়গাও দেওয়া হবে না।
“তাহলে কাউন্সিলটা হবে কী করে? হয় আমার বাড়িতে হবে, না হয় আমাদের এই ছোট অফিসে হবে।”
আগামী ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ ত্রিবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিলের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হলেও এখনও তাতে সাড়া মেলেনি।
এর বাইরে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার বিএনপি নেতাদের পছন্দে থাকলেও সেখানে রাজনৈতিক দলকে ভাড়া না দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সভায় ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি অনুসরণ করে দলকে নতুনভাবে সংগঠিত করার ঘোষণা দেন বিএনপি প্রধান।
তিনি বলেন, “এখন একজন নেতা আর একাধিক পদে থাকতে পারবেন না। কেউ তাঁতী দলেও আছেন, কৃষক দলেও আছেন, শ্রমিক দলেও আছেন- তা হবে না। তাঁতী দল করলে তাঁতী দলই করতে হবে, কৃষক দল করলে কৃষক দলই করতে হবে। একটাকে আপনাদের বেছে নিতে হবে।”
এর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “আমাদের দলে অনেক লোক আছেন। অনেকে আসতে চায়, যারা কাজ করতে চায়, তাদের আমরা জায়গা দিতে পারছি না।
“দেখা যাচ্ছে যে একই লোক একাধিক পদ ও জায়গা নিয়ে বসে আছেন। তাহলে তো হবে না। সেজন্য আমাদের বের করতে হবে যাতে একজন লোক একাধিক পদে থাকতে না পারে, সেই বিষয়টা আমরা চিন্তাভাবনা করছি।”
তাঁতী দলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গুলশানের কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খালেদা জিয়া।
এরপরে জাতীয় কাউন্সিলের জন্য গঠিত ১১টি উপ-কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
কাউন্সিল অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে কমিটিগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে ১১টি উপ-কমিটির পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক প্রতিবেদন তৈরি এবং প্রস্তুতি কার্যক্রম সম্পর্কে বিএনপি নেত্রীকে অবহিত করা হয়।
বৈঠকে উপ-কমিটির আহ্বায়কদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, শফিক রেহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রুহুল কবির রিজভী, মিজানুর রহমান সিনহা, আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।