• শিরোনাম

    যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহত করতে শক্তিশালী হচ্ছে ইরান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক, | সোমবার, ১৪ আগস্ট ২০১৭

    যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহত করতে শক্তিশালী হচ্ছে ইরান

    ইরানের সংসদে মার্কিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হুমকি ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ১১ ধারা বিশিষ্ট যে প্রস্তাব পাশ করেছেন তাতে ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীকে এগিয়ে নিতে এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)’র প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে জোরদার করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত অর্থ বরাদ্দ অনুমোদনে প্রায় সবাই ভোট দিয়েছেন।

    ইরানের সংসদের গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান কাজেম জালালি এক সাক্ষাতকারে মার্কিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় সংসদে পাশ হওয়া প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়াতে ২৬ কোটি ডলার এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার জন্য আইআরজিসি’র কুদস বিগ্রেডকে আরো ২৬ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’

    বিশ্বের সব দেশই বাইরের শত্রুর আগ্রাসন ও হুমকি মোকাবেলার জন্য নিজ প্রতিরক্ষা শক্তিকে গড়ে তোলে। ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকার কারণে ইরানও নানাভাবে শত্রুর আগ্রাসন ও হুমকির সম্মুখীন। এ অবস্থায় আত্মরক্ষার জন্য সামরিক শক্তি বাড়ানোর পদক্ষেপ স্বাভাবিক ও যৌক্তিক বিষয়। ইরানের প্রতিরক্ষা নীতি কোনো দেশের জন্যই হুমকি নয়। কিন্তু যে কোনো হুমকির কঠোরভাবে জবাব দিতে প্রস্তুত। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করে ইরানের শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা কিংবা দুর্বল করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা প্রথমে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু ওয়ারহেড স্থাপনের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।  দ্বিতীয়ত, সন্ত্রাসীদের প্রতি ইরানের কথিত সমর্থনের কথা বলে এ দেশটির প্রতিরোধ শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

    ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন ষড়যন্ত্রের বিষয়টি উপলব্ধি করে প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

    তিনি গত ৩১ আগস্ট প্রতিরক্ষা শিল্প পরিদর্শনে গিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশ্বের বলদর্পী শক্তিগুলো নিজেদের সমর শক্তি বাড়িয়েই চলেছে এবং তাদের আচরণে দয়া-মায়ার কোনো চিহ্ন নেই। তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাতে প্রকাশ্যেই বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা হাসপাতালগুলোতে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত শত শত নিরীহ মানুষকে তারা হত্যা করেছে। এমনকি এসব অন্যায় অপরাধের বিষয়ে তারা জবাবদিহিতারও প্রয়োজন বোধ করছে না। এ পরিস্থিতিতে ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই যাতে বলদর্পী শক্তিগুলো আমাদের ব্যাপারে ভয়ে থাকে।’

    ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেছেন, ‘আমরা প্রতিরক্ষা শক্তির মাত্রাতিরিক্ত বিস্তারের পক্ষে নই এবং ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী পরমাণুসহ যে কোনো গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিরোধী।’

    বিশ্লেষকরা বলছেন, শত্রুর যে কোনো হুমকি কিংবা আগ্রাসনের দাঁত ভাঙা জবাব দেয়ার ক্ষমতা ইরানের রয়েছে। গত ৭ জুন ইরান সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট(আইএস) জঙ্গিদের অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে, নিজ নিরাপত্তা রক্ষায় ইরান কোনো ছাড় দেবে না। এরই আলোকে ইরানের সংসদও ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি আরো শক্তিশালী করার জন্য বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে।

    সূত্র: পার্স টুডে

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম