• শিরোনাম

    দ্রুত এগিয়ে চলেছে রিহায়ারিং ও ই-কার্ডের কার্যμম সেবা নিতে মিশন পরিনত হয়েছে প্রবাসীদের মিলন-মেলায়

    বশির আহমেদ ফারুক,মালয়েশিয়া থেকে : | মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

    দ্রুত এগিয়ে চলেছে রিহায়ারিং ও ই-কার্ডের কার্যμম সেবা নিতে মিশন পরিনত হয়েছে প্রবাসীদের মিলন-মেলায়

    মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এখন পরিনত হয়েছে প্রবাসী বাঙ্গালীদের মিলন-মেলায়। অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ করনের রিহায়ারিং ও ই-কার্ডের কার্যμম দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে।
    মালয়েশিয়াতে অবস্থানরত অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতা প্রদানের লক্ষে মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত রিহায়ারিং ও ই-কার্ডের কার্যμম সম্বলিত নিয়মাবলি প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন। মালয়েশিয়ার বিভিনড়ব অঞ্চলে বসবাসরত অবৈধ বাঙ্গালীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং এর মধ্যে প্রয়োজনীয় নিয়মাবলী অনুসরণ করে অবৈধদেরকে বৈধ করণ প্রμিয়া চলছে। এতে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রচুর লোকজনের সমাগম পরিলক্ষিত হচ্ছে। অবৈধ প্রবাসী বাঙ্গালীদের বৈধ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়া গ্রহণ করেছে বিশেষ উদ্দ্যেগ। প্রবাসীদের সুবিধার্থে হাইকমিশন তাদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে প্রবাসীদের সেবা দিতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি এইচএমনিউজ২৪.কমকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎ কারে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার বিশিষ্ট কুটনীতিক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, হাইকমিশনের ব্যস্ততম ও আন্তরিক কাজকর্ম সম্পর্কে। তিনি আবেগের সাথে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমারা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। তার কণ্যা দেশরতড়ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত সফল কুটনীতির সুবাদে মালয়েশিয়া সরকার আমাদের বাঙ্গালীদেরকে তথা বাঙ্গালী জাতিকে সম্মানের সাথে বিবেচনা করছে বলে-ই প্রচুর অবৈধ বাঙ্গালীদের বৈধ করনের সুযোগ দিয়েছেন। হাইকমিশনার মোঃ শাহিদুল ইসলাম পরম করুনাময় মহান আল্লাহ তা-আলার শুকরিয়া আদায় করে বলেন, ’আলহামদুলিল্লাহ’ আমরা যারা মিশনে কর্মরত আছি প্রতেকেই দেশের এবং দেশের নাগরিকদের সম্মান অক্ষুনড়ব রাখতে প্রবাসে বসবাসরত অবৈধ বাঙ্গালীদেরকে মালয়েশিয়া সরকার কতৃক দেয়া সময় সিমার মধ্যেই প্রতেকটা অবৈধ নাগরিকের বৈধ করনের কার্যμম হাতে নিয়েছি। অবৈধ শ্রমিকদের উঁপচেপড়া ভিড় সম্পর্কে হাইকমিশনার বলেন বিশেষ মোবাইল টিম গঠন করে শ্রμবার-শানিবার সেবা কার্যμম চালানোর উদ্দ্যেগ নিয়েছি। তিনি শ্রমিকদেরকে একটু ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে মিশনের দেয়া সেবা নিতে অনুরোধ করেন। তিনি মিশনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মিশন এখন পরিনত হয়েছে প্রবাসী বাঙ্গালীদের মিলন-মেলায় এবং দ্রুত এগিয়ে চলেছে রিহায়ারিং ও ই-কার্ডের কার্যμম।
    একটি নিউজ পোর্টালের সংবাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশড়ব করলে হাইকমিশনার বলেন আমরা কাজ করছি সকলকে সঠিক ও যথার্থ সেবা দেয়া আমাদের উদ্দেশ্য কেউ কোন রকম দূর্নিতি ও সজনপ্রীতির আশ্রয় নিবে এর কোন সুযোগ নেই।তিনি দাবি করেন মিশনের প্রতিটি কাজ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
    তিনি বলেন, কোনোভাবেই দালালদের হাইকমিশনের আশপাশে ঘেঁষতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে সিরিয়াল অনুযায়ী ডিজিটাল পাসপোর্ট তৈরি এবং নবায়ন থেকে শুরু করে সবই হচ্ছে নিয়ম মোতাবেক। হাইকমিশনের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী শ্রমিকবান্ধব হওয়ায় প্রবাসীরা দ্রুত সেবা পাচ্ছেন।
    তিনি আরও বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে আসা শ্রমিকেরা কোনো ধরনের দালাল ছাড়াই তাদের কাজ অল্প সময়ে শেষ করে চলে যেতে পারেন, ইতোমধ্যে সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
    তিনি জানান, আগে হাইকমিশনে আসা শ্রমিকেরা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এখন নতুন ভবনে তাদের বসার জন্য জায়গা ভাড়া নেয়া হয়েছে।
    দালালদের উৎপাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরো দালাল চμকে আমরা নির্মূল করতে পারব।
    হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মশিউর রহমান জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসীরা সহজেই যাতে এমআরপি হাতে পান সে জন্য বিভিনড়ব প্রদেশে মোবাইল টিমের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ ও নতুন আবেদন নেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন দুই হাজার আবেদন গ্রহণ ও দেড় হাজার পাসপোর্ট বিতরণ করা হচ্ছে।
    তিনি আরও জানান, দূতাবাস ছাড়াও মোবাইল ক্যাম্পিং করে একদিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা নেয়া, ফিঙ্গার প্রিন্ট, ছবি তোলার কাজ শেষ করা হচ্ছে। কেউ যেন এমআরপির আওতার বাইরে না থাকেন সে জন্য এ ক্যাম্পিং।
    দূতাবাসের ফার্স্ট সেμেটারি এমএস কে শাহীন জানান, মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা সব প্রবাসীর হাতে এমআরপি পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা অনেক দিনের।
    তিনি আরও বলেন, দূতাবাসের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় প্রায় দুই লাখের অধিক অবৈধ শ্রমিক বৈধতার আওতায় এসেছেন। এক মাসের মধ্যেই গ্রাহকের হাতে এমআরপি পাসপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছে দূতাবাস।
    নিয়মাবলী-
    ১. শ্রমিকদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বা চিঠির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
    ২. ইমিগ্রেশন হতে ভিসা স্টিকারপ্রাপ্তি সাপেক্ষে লেভি শোধ করতে হবে।
    ৩. রিহায়ারিং কর্মসূচির আওতায় বৈধতার মেয়াদ হবে ৩ থেকে ৫ বছর।
    তবে মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো এজেন্ট বা দালালের মাধ্যমে রিহায়ারিং না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
    খরচ-
    রিহায়ারিংয়ের জন্য সর্বোচ্চ মোট খরচ প্লান্টেশন ও এগ্রিকালচার সেক্টরে ৩৫০০ রিংগিত এবং অন্যান্য সেক্টরে ৪৭১৫ রিংগিত।
    ই-কার্ড কর্মসূচি-
    পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকলে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পূত্রাজায়া বা যেকোনো প্রদেশের ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে বিনামূল্যে ই-কার্ড করা যাবে। এ সুযোগ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে।
    তবে ই-কার্ড পাবার পর পাসপোর্ট না থাকলে শ্রমিকদের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট নিতে হবে এবং রিহায়ারিংয়ের কাজ শেষ করতে হবে ।

    সম্পাদনাঃএম.আমজাদ চৌধুরী রুনু

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

  • ফেসবুকে চিনাইরবার্তা.কম