মিশরের উত্তরাঞ্চলে একটি কপটিক খ্রিস্টানদের চার্চে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। তানতার সেইন্ট জর্জ (মার গিরগিজ) কপটিক চার্চে পাম সানডে উদযাপনের অনুষ্ঠান চলাকালে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে সিএনএন’র খবরে বলা হয়, আহত হয়েছে ৫০ জন।
খবরে বলা হয়, চার্চের প্রধান প্রার্থনা ঘরের একটি আসনের নিচে ওই বিস্ফোরক ডিভাইস রাখা হয়। বিস্ফোরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে টুইট করে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ আবারও মিশরে আঘাত হেনেছে। এবার পাম সানডে উপলক্ষ্যে। সকল মিশরীয়র বিরুদ্ধে আরেকটি জঘন্য কিন্তু ব্যার্থ চেষ্টা।
মিশরের কপটিক চার্চের নিয়মানুযায়ী, পাম সানডে হলো ইস্টারের পূর্বের রোববার। খ্রিস্টানদের পবিত্র সপ্তাহ বা হলি উইকের শুরু এই রোববার থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পর পর চার্চের বাইরে জড়ো হয়েছে বহু মানুষ।
রোববার চার্চে কারা হামলা চালিয়েছে তা অ¯পষ্ট। তবে মিশরের সংখ্যালঘু কপটিক খ্রিস্টানরা সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারককে উৎখাতের পর থেকেই নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে। জাতিগত বিভিন্ন সংঘাতে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরেও একটি কায়রোর একটি কপটিক চার্চে হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে।
মার্চে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, কপটিক চার্চ ও অনুসারীদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুসারীদের শারীরিকভাবে হামলা করা হয়েছে। তাদের সম্পত্তি লুটপাট করা হয়েছে।
মিশরের ৯.১ কোটি জনসংখ্যার ১০ শতাংশ কপটিক খ্রিস্টান। তাদের ধর্মতত্ব অ্যাপোস্টোল মার্কের শিক্ষানুযায়ী পরিচালিত হয়। তিনিই মিশরে খ্রিস্টীয়বাদের প্রচার শুরু করেন। এ মাসে কায়রোতে যাওয়ার কথা খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় শাখা ক্যাথলিক-এর সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপের। সেখানে কপটিক অর্থডক্স চার্চের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা তার।
রোববারের এই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসিকে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বরণ করে নেওয়ার কয়েকদিন পরই এ হামলা ঘটলো।
Comments
comments