| বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত শুক্রবার থেকে শুরু করে তিন দিনে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত আট হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হলেও নেই কোনো হেফাজত নেতা-কর্মীর নাম।
এ ছাড়াও, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত নয় জনের পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম তার থানায় এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রথম দিন গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়, শহরের দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এই তিন মামলায় মোট ৬ হাজার ৫০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। সেদিনের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছিল পুলিশ।
ওসি আরও জানান, জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আনসার কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলা এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ দুই মামলায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ জানান, আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এবং সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছে। দুই মামলায় প্রায় এ হাজার ২০০ অজ্ঞাত লোককে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় হেফাজতে ইসলামের কারও নাম না থাকার বিষয়ে ওসি মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘হেফাজতের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব কমিটির নামের তালিকা আমাদের কাছে আছে। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছি। এগুলো পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় অনেকে অন্যান্য এলাকা থেকে বা অনেক দূরের এলাকা থেকে এসে হামলায় অংশ নিয়েছেন। যেহেতু আমরা কাউকে চিনি না, তাই আমরা কারও নাম না দিয়েই মামলার অভিযোগ লিখেছি। আমরা নিশ্চিত হয়ে গ্রেপ্তার করব বা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’-ডেইলি স্টার
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |