| মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটের যুবক পলাশ পাল (৩৭)। ২০১৭ সালের আগস্টে হত্যা মামলার আসামি হন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারজানা আহমেদ মামলাটি খারিজ করে দেন।
পলাশ পাল ধর্ষণ মামলার শিকার হয়েছেন ২০১৯ সালের ১০ জুলাই। পলাশ ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে- ডিএনএ পরীক্ষায় এমন আলামত মেলেনি। তবে ওই নারীর বীর্যে একাধিক পুরুষের ডিএনএ আলামত পাওয়া যায় বলে পরীক্ষার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল আসার পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর গ্রেপ্তার হওয়া পলাশ। ছাড়া পেলেও শঙ্কা মুক্ত নন উল্লেখ করে পলাশ বলেন, ‘আবার তাকে অন্য কোনো মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হতে পারে। ওই নারীর শিকার হতে পারেন এলাকার অন্য কোনো যুবকও। যে কারণে এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্যাস লাইন টানা নিয়ে বলাই চন্দ্র পালের ছেলে পলাশ পালের সঙ্গে প্রতিবেশী পরিবারের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। ২০১৭ সালের ১৯ মে ওই নারীর বাবা (নবীনগরের বাসিন্দা) মারধরের শিকার হয়ে মারা যান বলে পলাশসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দেন। আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে।
ওই বছরের ১০ আগস্ট দায়ের হওয়া মামলায় মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ সমাধি থেকে উঠিয়ে ময়না তদন্ত করা হয়। এতে মারধরের আলামত না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এর আগে পুলিশ এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দেন।
এ অবস্থায় মামলার আরেক আসামি শুকলাল সূত্রধরের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় ওই নারীর। এ সময় শুকলালকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়। খুনের মামলা খারিজ করে দেওয়ার কয়েক মাস পরই শুকলালের পাশাপাশি পলাশকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।
পলাশ পাল সোমবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রতিবেশী গৃহবধূ গ্যাসের সংযোগ নেওয়াকে কেন্দ্র করে হওয়া বিরোধের জের ধরে প্রথমে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। সেটিতে সাফল্য না পেয়ে ধর্ষণ মামলা করেন। কিন্তু জব্দ করা ওই নারীর বীর্যে আমার ডিএনএ আলামত না পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় আদালত থেকে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। পুলিশও সঠিক তদন্ত করেছে। তবে আমি এখনও শঙ্কায় আছি আবার কোনো মামলা দায়ের করে দেয় কি-না।’
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |