| মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দা গ্রামে সাত বছর বয়সী বাকপ্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে এ ঘটনার পর রাতে ভুক্তভোগীকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীর নানির অভিযোগ, শিশুর মায়ের সঙ্গে বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয় কয়েক বছর আগে। পরে তার মাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। মায়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী ওই শিশু এবং তার ছোট ভাই নানার বাড়িতেই থাকতো। রবিবার দুপুরে ওই শিশুটি বাড়ির উঠানে খেলা করছিল।
হঠাৎ করে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি ঘরে শিশুর চিৎকার শুনেন। তিনি ঘরে ঢোকা মাত্র একই এলাকার রিকশাচালক মনির মিয়া (৩০) ঘর থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তিনি সেখান থেকে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগীর নানি জানান, ওই এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে মনির ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করা হয়। পরে রাতে পুলিশকেও অবহিত করা হয়। ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. ফৌজিয়া আখতার জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে আমরা পেয়েছি। প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত বলা কঠিন। তার গোপনাঙ্গে আঘাত আছে। ধর্ষণ নাকি অন্য কোনো আঘাতে শিশুটির রক্তক্ষরণ হয়েছে তা পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষার পর বলা যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম জানান, খবর পেয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। এ ঘটনায় সোমবার শিশুর নানা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।-কালের কণ্ঠ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |